হ্যাঁ , না ভোটের নির্বাচন থেকে গনতন্ত্রের পথে বাংলাদেশ আজ কতটুকু অগ্রসরমান। উপসম্পাদকীয়
প্রকাশিতঃ
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
১৫০
বার পঠিত
উপসম্পাদকীয়
হ্যাঁ , না ভোটের নির্বাচন থেকে গনতন্ত্রের পথে বাংলাদেশ আজ কতটুকু অগ্রসরমান
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মমতাজ হুসেন চৌধুরী
রাজনীতি / অপরাজনীতি / বিরাজনীতি : জাতির জনক বলেছিলেন – সঠিক নেতৃত্ব , আদর্শ , কমিটি/ সংগঠন ও কর্মী বাহিনী ব্যতিরেকে দল বা রাজনীতি হয়না । জিয়াউর রহমান বলেছিলেন – I will make politics difficult for politician and money is no problem . চীনের মাও সেতুং বলেছিলেন – politics is war without bloodshed while war is politics with bloodshed. আব্রাহাম লিংকন তার গেটসবার্গ ভাষনে বলেছিলেন – Democracy of the people , by the people , For the people . আমি এসব নেতৃবৃন্দের মুল্যবান বক্তব্যের বিশ্লেষন ক্ষুদ্র পরিসরে করবনা যা সম্ভব ও নয় । তবে পাদটীকার আলোকে সবচেয়ে ম্যাচ করা বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান । উনি ক্ষমতায় আসার পর জেনারেল থেকে হ্যাঁ না ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হলেন , দুনিয়াকে দেখালেন উর্দি পরে ও গনতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করা যায় । হয়ত করা যায় উনার দর্শনের মত করে যাকে বলে মিলিটারী ডেমোক্রেসী , বুলেট আর ব্যালট এক সাথে এক বিছানায় ঘুমানো । মোদ্দা কঁথা হলো , বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে হত্যা , ক্যু ,ষরযন্ত্র , সংবিধানের ওপেন হার্ট সার্জারী করে কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিল সংযোজন অর্থাৎ খুনীদের বিচার করা থেকে রেহাই দেয়ার ব্যবস্তা । শুরু করলেন রাজনৈতিক দল , হায়ার করা প্লেয়ার , মুক্তিযুদ্বের পরাজিত সেনাপতিদের দলে টানা , ভয়ানক কৌশল ছিল শিল্পপতিদের , আমলাদের দিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মনোনয়ন দেয়া , আবার টাকাওয়ালা / হুন্ডাওয়ালা / গুন্ডাওয়ালা / হুন্ডিওয়ালা/ চিহ্নিত সাজাপ্রাপ্ত খুনীদের জেল থেকে ছেরে দিয়ে / স্মাগলার দিয়ে /মুক্তিযুদ্বের পরাজিত শক্তির প্রতিনিধিদের দিয়ে দেশের নেতৃত্ব ও মন্ত্রীত্ব গঠন করেন । শুরু বিরাজনীতিকরনের সুক্ষ্ম প্রক্রিয়া , আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সাদা কালো পোষ্টার পক্ষান্তরে ভারাটিয়া রাজনীতিকরা চাররঙ্গা পোষ্টার , কর্মীদের প্রচার প্রচারনার হাত খরচ , কেন্দ্র দখলের জন্য গুন্ডা ও প্রসাশনিক চক তৈরী ইত্যাদি শুরু করে প্রকৃত রাজনীতির মাঠের লোকদের কোনঠাসা করে ফেলে ।
একি ধারাবাহিকতায় মরহুম জেনারেল এরশাদ দীর্ঘ সময় দেশ পরিচালনা করে রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে যান । আন্দোলনের মাধ্যমে গনতন্ত্র পুনরুদ্বার করেও ১৯৯১ এর নির্বাচনে মিডিয়া ক্যু , আমলাদের কারসাজির মাধ্যমে ও টাকাওয়ালাদের দাপটে আওয়ামী লীগ ঠগে যায় । জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষনতায় ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর মুক্তিযুদ্বের দল আওয়ামী লীগ মার্জিনাল আসনে পাশ করে সরকার গঠন করে । এত সময়ে ইতিহাস পলাতক , পাঠ্য পুস্তকে শিশুশিক্ষার উপকরন নির্ধারনে পেইড লেখক ও গবেষকরা যেন সুকৌশলে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টায় মরিয়া , যা নিজে জিয়াউর রহমান ও চাইতেন না । এখানে বঙ্গবন্ধুর বিপরীতে জিয়া , মুক্তিযোদ্বাদের বিপরীতে মুক্তিযুদ্বের পরাজিত শক্তির একাট্টা অবস্তান , রেডিমেড বুদ্বিজীবি গোষ্টী গজানো থেকে শুরু করে যা যা অপকর্ম করার সব করে প্রঁকৃত রাজনীতিবিদদের দাবিয়ে রাখা হল । যা বলছিলাম অপরাজনীতি যেভাবে প্রশ্রয় পায় , শিকর গভীরে প্রথিত হয় ।
জননেত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক দুর্নীতি বিরোধী অভিযান নিয়ে ডাকসাইটে নেতাদের দুশ্চিন্তা বেরে যেতে পারে , নেতাদের হেনস্তা করলে দলের শক্তি কমে যাবে , এর উত্তর ও উনি দিয়েছেন – দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য ঘোয়াল ভাল । একটা কঁথা মনে রাখতে হবে , এটা রাজনীতি যা রাজনীতির মাঠের লোকদের জন্যেই যুত্সই তাই কথায় বলে – বন্যেরা বনে সুন্দর , শিশুরা মাতৃক্রোরে ।আগাছা ঝরে গেলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে পুননির্মিত সংগঠনটির স্তরে স্তরে নেতৃত্ব দেয়ার বিকল্প ও যোগ্য কর্মী ষ্যান্ডবাই আছে । এসব ক্রাইসিসে যেন সুকৌশলে খাচায় পোষা পাখিরা আবার বিরাজনীতিকরনের সুযোগে ঠাঁই না পায় , এ ব্যাপারে চোখ কান খোলা রাখতে হবে । বেড়ায় যেন আবার ক্ষেত না খায় । নেত্রীর বিচক্ষতায় আল্লাহ সহায় হউন । সাধু সাবধান জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।