স্টাফ রিপোর্টার:
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ১২ বছরের এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। তারা ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়েরের পর আটক তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুমারপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস তালুকদারের ছেলে লিটন তালুকদার (৫৫), ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। একই গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে মো. সেলিম (২৩) ও তারা মিয়ার ছেলে কবির মিয়া (২৮)।
মামলা ও যৌথবাহিনী সূত্রে জানা যায়,গত ১৪ জুন দুপুরে একই গ্রামের মৃত দুলালের ছেলে মো. শাহিন ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে ঘরে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে।পরে সে চার দিন ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করে।এ ঘটনা জানার পর শাহিনের বন্ধু মো. পারভেজ (আলা উদ্দিনের ছেলে) ১৭ জুন বিকেলে কিশোরীকে একইভাবে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।এরপর তাদের আরেক বন্ধু মো. লাভলু (নাজিম উদ্দিনের ছেলে) ১৯ জুন দুপুরে কিশোরীকে একা পেয়ে আবার ধর্ষণের চেষ্টা করে।তবে মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে লাভলু পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করে বলেন,বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা সমঝোতার মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।গত রোববার (২২ জুন) রাতে বিএনপি নেতা লিটন তালুকদারের নেতৃত্বে আপস মীমাংসার কথা বলে ফরিদা বেগম ও তার মেয়েকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় ও হুমকি দেয়।ফরিদা বেগম নিরুপায় হয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়।এ সময় লিটনের লোকজনদের সঙ্গে পুলিশের কথাকাটাকাটি হয়।পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সেনাবাহিনীকে খবর দেয়।সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে লিটন তালুকদার, সেলিম এবং কবির মিয়াকে আটক করে।এ সময় ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান জানান,এ ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।