মেহেরপুর প্রতিনিধি:
মেহেরপুরে সাংবাদিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ৯ দিন অতিবাহিত হলেও এখন অবধি প্রশাসন কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।
গত ১৫ জুন রাত ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে দৈনিক সমাচারের মেহেরপুর প্রতিনিধি মাজিদ আল মামুনের গাংনী উপজেলার মাইলমারী বাসভবন সংলগ্ন নিজ মালিকানাধীন মুদিও দোকান ‘মুজিব এন্টার প্রাইজ’ এ দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। ঘটনায় ঈদ পরবর্তী বেচাকেনার নগদ ৭০ হাজার টাকা ও প্রায় ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট চুরি হয়।
ছেলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকায় বাড়ির অন্য সদস্যরা না থাকায় সুযোগ বুঝে হানা দেয় চোরের দল। উক্ত রাতে পিছন দিক থেকে বাসভবনে প্রবেশ করে দোকানের তালা ভেঙে নিয়ে যায় টাকা ও সিগারেট। দোকানের ভিতরে প্রবেশ করেই প্রথমে একটি সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে দেয়। অপর দু’টি সিসি ক্যামেরা সচল থাকলেও তোয়ালে দিয়ে মুখ বেঁধে একজন ভিতরে প্রবেশ করে ড্রয়ার থেকে ৭০ হাজার টাকা ও ৭৫ হাজার টাকার সিগারেট নিয়ে চম্পট দেয়। ধারণা করা হচ্ছে একজন ভিতরে প্রবেশ করলেও বাইরে আরো কয়েকজন ছিলো। যাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে ভিতরে প্রবেশ করা ব্যক্তিকে এলাকার অসংখ্য লোকজন মাইলমারী গ্রামের চকপাড়ার রতনের ছেলে জসিম বলে জানিয়েছেন। এমনকি একই সাথে কর্মরত লোকজনও তাকে জসিম বলে সন্দেহ করছেন। প্রবাস থেকেও অনেকে ফোন করে জসিম বলে জানিয়েছেন। যা গাংনী থানাকে অবগত করা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন ভাবভঙ্গিতেও প্রতীয়মান হচ্ছে চুরি করা ব্যক্তি আর কেউ নয় সে জসিম।
তবে কি কারণে জসিমসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না এ নিয়ে নানা জনে নানা প্রশ্ন। যদিও গাংনী থানায় কারো নামে অভিযোগ নয় বরং অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান সাংবাদিক মামুন। কিন্তু পরবর্তীতে লোকজনের কানাঘুষা, জসিমকেই একাধিক লোকজন সন্দেহ করাসহ চুরির ঘটনার পর থেকে জসিম দোকানে না আসায় প্রমাণিত হয় সেই এ চুরির সাথে জড়িত। তবে লোকজনের সন্দেহের তালিকায় আরো কয়েকজন রয়েছে বলেও জানা গেছে।
এদিকে গাংনী থানা একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করেও এখন অবধি কাউকে আটক না করায় মহা দুশ্চিন্তায় সাংবাদিকসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।
তবে তিনি জানান, প্রশাসনের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। প্রশাসন দ্রুততম সময়ে চুরির ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করবেন এমনটাই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেছেন।