বগুড়া শেরপুরে আন্ত:জেলা চোর দলের সদস্য রফিক পালসার মোটরসাইকেল সহ গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিনিধি:
বগুড়া শেরপুরে মসজিদের সামনের রাস্তার পাশে মোটরসাইকেল রেখে ফজরের নামাজ আদায় জন্য মসজিদে প্রবেশ করে নামাজ শেষে বের হয়ে তার মোটর সাইকেল চোখে না পরায় অনেক খোঁজাখুঁজির পর মোটরসাইকেল না পেয়ে শেরপুর থানা একটি চুরি মামলা দায়ের করেন।
শেরপুর থানার মামলা নং-০২, তাং-০৩/০৩/২০২৫ খ্রিঃ, জিআর নং-৫১/২৫, ধারা-৩৭৯।
মামলা সূত্রের জানা যায়, মামলার বাদী সকাল অনুমান ৬ টার সময় তাহার ব্যবহৃত পালসার ১৫০ সিসি,মোটরসাইকেল,যাহাররেজিঃনং-বগুড়া-ল-১৩-৫৪৬৪, ইঞ্জিন নং-উঐঢঈখঋ৩২৭০৩, চেসিস নং-চঝটঅ১ ১ঈণ৯খটঞঐ৫৭৯২৩৮, শেরপুর পৌরসভার অন্তর্গত কোর্টপাড়া গ্রামস্থ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আহলে হাদিস মসজিদে নামাজ আদায় করার জন্য যায়।
মোটর সাইকেলটি উক্ত মসজিদের মেইন গেইটের সামনে পাকা রাস্তার উপরে রাখে। মসজিদ হইতে ফজরের নামাজ আদায় শেষ , তাহার মোটর সাইকেল রাখার স্থানে দেখিতে না পেয়ে ,পরবর্তীতে বাদী তাহার চুরি যাওয়া মোটর সাইকেলটি খোঁজাখুজি করেন এবং শেরপুর থানায চুরি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) মোঃ মইনুল ইসলাম মামলাটি তদন্তভার গ্রহন করিয়া তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ।
গত ৪ঠা মার্চ রাত্রি আনুমানিক ১টা ১৫মিনিটের সময , ধুনট মোড় নামক স্থানে সিএনজি ষ্ট্যান্ড হইতে আসামী মোঃ রফিক (৪৫), পিতা-মৃত নুরুল ইসলাম, মাতা-মোসাঃ ফেলেনা আক্তার, সাং-কলাতলী(গলবাড়ী), থানা-করিমগঞ্জ, জেলা-কিশোরগঞ্জকে বাদীর চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়।
আসামীর হেফাজত হইতে পাওয়া বাদীর চুরি যাওয়া মোটর সাইকেলটি উদ্ধারপূর্বক বিধি মোতাবেক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করা হয়।
ধৃত আসামী রফিক আন্তঃজেলা চোর দলের সক্রিয় সদস্য। ধৃত আসামী তার অন্যান্য সহযোগীসহ দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে মোটর সাইকেল চুরি করিয়া আসিতেছে।থানার রেকর্ডপত্র ও সিডিএমএস যাচাই করিয়া দেখা যায়, ধৃত আসামী মোঃ রফিক এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় দশটি মামলা রয়েছে।
১। ডিএমপি এর গুলশান থানার এফআইআর নং-৩৩/৩৩, তারিখ- ৩১/০১/২০১৯; ধারা-৩৬(১) সারণির ১০(খ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮;
২। জিএমপি এর গাছা থানার এফআইআর নং-১৩, তারিখ- ১৫/০২/২০২৩; জিআর নং-৩৯, ধারা-4 The Public Gambling Act,1867;
৩। জিএমপি এর টঙ্গী পূর্ব থানার এফআইআর নং-২০/৩৩৫, তারিখ-১৩/০৭/২০২১; ধারা-৩৬(১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮;
৪। জিএমপি এর সদর থানা থানার এফআইআর নং-৩৫, তারিখ- ১৪/০২/২০২৪; জিআর নং-৮৮, ধারা- 392 The Penal Code, 1860;
৫। ডিএমপি এর ভাষানটেক থানার এফআইআর নং-১১/১১, তারিখ-২৬/০১/২০১৪; ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড-১৮৬০;
৬। ডিএমপি এর ভাষানটেক থানার এফআইআর নং-১২, তারিখ- ২৬/০১/২০১৪; ধারা-৪/৫/৬ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইন;
৭। ডিএমপি এর কাফরুল থানার এফআইআর নং-৩৬, তারিখ-২৩/০১/২০১৪; ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড-১৮৬০;
৮। কিশোরগঞ্জ এর করিমগঞ্জ থানার এফআইআর নং-১০, তারিখ-১২/০৬/২০১৭; ধারা- ৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড-১৮৬০,
৯। কুমিল্লা এর চৌদ্দগ্রাম থানার এফআইআর নং-১৪, তারিখ-২০/১১/২০০৭; ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩৭৯/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০;
১০। জিএমপি এর কাশিমপুর থানার এফআইআর নং-১৭, তারিখ- ১৭/০১/২০২৫; জিআর নং-১৭, ধারা-411 The Penal Code, 1860 মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।