শেরপুরে বিএনপির নেতা হত্যার ঘটনায় কৃষক লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
মোঃ আমিনুল ইসলাম শেরপুর প্রতিনিধ
শেরপুরে বিএনপি নেতা গোলাম জাকারিয়া বাদল হত্যার ঘটনায় কৃষক লীগ নেতাসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে নিহত বাদলের স্ত্রী পপি বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় কৃষক লীগ নেতা ও শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কারান্তরিন নূরে আলম সিদ্দিকীকে ১ নম্বর আসামি এবং কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমানকে ২ নম্বর আসামিসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এর আগে স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তার ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের ষড়যন্ত্রের জের ধরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) প্রতিপক্ষের হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম জাকারিয়া বাদল। তিনি সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে শেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস ছিলেন। হামলার ঘটনায় ভীমগঞ্জ গ্রামের সোহাগ আলম ও রুহুল আমিন নামের আরও দুইজন আহত হন। গুরুতর আহত সোহাগ বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত জাকারিয়া বাদলের স্ত্রী পপি বেগম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা, কামারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী ও লুৎফর রহমানে বিভিন্ন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন আমার স্বামী। এ জন্য তারা বিভিন্ন সময় আমার স্বামীকে হুমকি দিতেন। এমনকি কয়েক মাস আগে আমার স্বামীর ওষুধের দোকান ভাঙচুরও করে। খালেক হত্যা মামলার আসামি নূরে আলম সিদ্দিকী কারাগারে আছে। কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমান কারাগারে গিয়ে নূরে আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার নির্দেশে লুৎফর রহমান ও তাঁর ১৫-১৬ জন সহযোগী আমার স্বামী জাকারিয়া বাদলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মারা যাওয়ার আগে জাকারিয়া বাদল আমার স্বামী সব বলেছে।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, পুলিশ মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে এবং ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অব্যাহত রেখেছে। খুব দ্রুতই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।