1. sheikhrobirobi008@gmail.com : dailynayakontho :
  2. admin@dailynayakontho.com : unikbd :
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুহু কুহু ডাক যেন কানে বাজে – বিনয় দেবনাথ বিভাগীয় পর্যায়ে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু রাজশাহী মহানগরীতে অপারেশন ডেভিল হান্টের ৩ জনসহ অন্যান্য অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৭ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত নওগাঁয়  হাসপাতালে অনিয়মের প্রতিবাদে তালাবদ্ধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয় নওগাঁয় প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন রায়পুরে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের কর্মবিরতি ভোলায় অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে ১ জনকে আটক করলো কোস্টগার্ড রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পিডিএফের সভাপতি ফয়সাল, সম্পাদক লতা রাবির আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি স্টুডেন্ট চ্যাপ্টারের সভাপতি তোরণ, সম্পাদক তন্ময়

ভূমি অপরাধ আইনের উদ্দেশ্য ভূমি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখা : ভূমিমন্ত্রী নয়া কণ্ঠ

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৪১ বার পঠিত

 

ভূমি অপরাধ আইনের উদ্দেশ্য ভূমি সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখা : ভূমিমন্ত্রী

 মোস্তাফিজুর রহমান ঃ রাজশাহী ব্যুরো চীফ।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ থেকে মানুষকে বিরত রাখা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব ও সাহসিকতার কারণে আমরা জাতিকে এই আইন উপহার দিতে পেরেছি।

তিনি আজ সকালে সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় সংসদে গতকাল গৃহীত তিনটি ভূমি বিষয়ক বিলের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন। মন্ত্রী পরে সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। এই সময় ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সংসদ কর্তৃক গৃহীত তিনটি ভূমি বিষয়ক বিল হচ্ছে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’, ‘ভূমি সংস্কার আইন, ২০২৩’ এবং ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩’। এই তিনটি বিলে এখন রাষ্ট্রপতি সম্মতি দান করলে তা আইনে পরিণত হবে এবং আইন হিসেবে গেজেটের মাধ্যমে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য সংসদের আইন হিসেবে প্রকাশ করা হবে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বক্তব্য প্রদানকালে আরও বলেন, এই ভূমি অপরাধ আইন প্রণয়নের পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ জটিল ও সংবেদনশীল। আমরা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে অংশীজনদের মতামত গ্রহণ করেছি এর খসড়া তৈরির সময়। সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিকতার কারণে আমরা আমাদের ধারণা থেকে অনেক আগেই এই আইন দেশের জনগণকে উপহার হিসেবে দিতে পেরেছি।

তিনি বলেন, এটা একেবারে নতুন আইন। মাঠে কার্যকর হবার পর আমরা বুঝতে পারব কি কি পর্যায়ে সংশোধন প্রয়োজন। তা অনুযায়ী পরবর্তীতে সংশোধন করা হবে।

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভূমি বিষয়ক অপরাধকে ৮টি মৌলিক ভাগে ভাগ করা হয়েছ, এসব হচ্ছে ‘ভূমি প্রতারণা’, ‘ভূমি জালিয়াতি’, ‘অবৈধ দখল’, ‘ক্রেতা বরাবর বিক্রিত ভূমির দখল হস্তান্তর না করা’, ‘সীমানা বা ভূমির ক্ষতিসাধন’, ‘সরকারি, আধা-সরকারি, স্থায়তুশাসিত প্রতিষ্ঠান বা জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমির অবৈধ দখল, প্রবেশ বা কোনো কাঠামো নির্মাণ বা ক্ষতিসাধন’, ‘সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের স্বার্থযুক্ত বা জনসাধারণের ব্যবহার্য ভূমি অবৈধ ভরাট, শ্রেণি পরিবর্তন, ইত্যাদি’, ‘মাটির উপরি-স্তর কর্তন ও ভরাট’। এছাড়াও আরো ৪ ধরণের অপরাধকে সম্পূরক করা হয়েছে: আদেশ অমান্য, অপরাধ সংঘটনে সহায়তা বা প্ররোচনা, অপরাধ পুনঃ সংগঠন, কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন।

ভূমি সংস্কার আইন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে ৬০ বিঘার অধিক কৃষি জমির মালিক হওয়া যাবেনা। উত্তরাধিকারসূত্রে অর্জিত ভূমির ৬০ বিঘার অধিক হলে উত্তরাধিকারী পছন্দমত ৬০ বিঘা ভূমি রাখতে পারবে এবং অবশিষ্ট ভূমি সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণ দিয়ে খাস করবে। তবে কেউ যদি ৬০ বিঘা জমি থাকা স্বত্ত্বেও বেআইনিভাবে নামে-বেনামে নতুন করে অধিক জমি ক্রয়করে তাহলে তার অতিরিক্ত জমি বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং এক্ষেত্রে সরকার কোনো ক্ষতিপূরণ দিবেনা।

 

ভূমি জরিপ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যেসব এলাকায় চলমান বিএস জরিপ কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি সেসব এলাকায় আমরা মূলত বিএস জরিপ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। যেহেতু শেষ পর্যন্ত বিডিএস (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে) হবে, তাই এই মুহূর্তে বিএস জরিপ করার কোনো মানে হয় না। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া বিএস কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। অন্যদিকে, আশা করা যায় যে বিডিএস কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যেতে পারে। এতে মানুষের হয়রানি কমবে। প্রসঙ্গত, মন্ত্রীর উল্লিখিত বক্তব্য সম্পূর্ণ এবং গেজেটেড বিএস জরিপ বা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা বিএস জরিপের সাথে সম্পর্কিত নয়।

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, ভূমি প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধ এবং ভূমি জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধের বিচার কাজ প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হবার বিধান রয়েছে এতে ১৮০ কার্যদিবসে বিচার কাজ শেষ করতে হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান এতে প্রযোজ্য হবে। ভূমি প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধ, ভূমি জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধ, অবৈধ দখলচ্যুত ব্যক্তির দখল পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত আদেশ এবং অপরাধ পুনঃ সংগঠনের বিচার ব্যতিত আইনে উল্লেখিত অন্যান্য অপরাধ তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা যাবে। এছাড়া, ভূমি প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধ এবং ভূমি জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধ অজামিনযোগ্য এবং অন্যান্য অপরাধ জামিনযোগ্য এবং আপোষযোগ্য।

ভূমি সচিব জানান, ভূমি প্রতারণা সংক্রান্ত অপরাধ এবং ভূমি জালিয়াতি সংক্রান্ত অপরাধে অনধিক ৭ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড, অন্যান্য অপরাধে অনধিক ২ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড এবং একই অপরাধ পুনঃ সংগঠন করলে দিগুণ দন্ডের বিধান রয়েছে আইনে।

উল্লেখ্য, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে আছে দখল পুনরুদ্ধার, ক্ষতিপূরণের বিধান, সাক্ষীর সুরক্ষা, ভূমির তথ্য সম্বলিত ডাটাবেজ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা। এছাড়া এই আইনের কোনো বিধানের অস্পষ্টতার কারণে তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, আইনের অন্যান্য বিধানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উক্ত অসুবিধা দূর করার আদেশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্বাছ উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস, যুগ্মসচিব মোঃ খলিলুর রহমান, যুগ্মসচিব মো: নজরুল

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
২০২৫ © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed By UNIK BD