বগুড়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামী বেলাল গ্রেফতার
বিশেষ প্রতিনিধি
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। কোটা বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করে আবু রায়হান ওরফে রাহিম (২৯) (হাক্কানী টিস্যু কোম্পানীর সেলসম্যান) কোটা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মিছিল করার জন্য দুপচাঁচিয়া পৌরসভাস্থ বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে আওয়ামীলীগ পার্টি অফিসের সামনে আনুমানিক সকাল ১১ টার সময় পৌছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামীগন পরস্পর যোগসাজসে দুপচাঁচিয়া থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন এর নেতৃত্বে নাশকতা সহ দাঙ্গাহাঙ্গামা, খুন, জখম করার জন্য দলবদ্ধ হয়ে হাসুয়া, লোহার রড, লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ অতর্কিত ভাবে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলের উপর হামলা করে।
মোঃ বেলাল হোসেন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভিকটিম আবু রায়হান ওরফে রহিম এর ডান পায়ে পরপর কয়েকটি গুলি করলে ভিকটিম রাস্তায় পড়ে যায়।
তখন অন্যান্য আসামীগন ভিকটিমকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে এবং কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রী সহ অন্যান্য লোকজনদেরকে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম আবু রায়হান ওরফে রাহিমকে উদ্ধার করে প্রথমে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরে বাংলা নগর, ঢাকায় রেফার্ড করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ভিকটিম আবু রায়হান ওরফে রাহিম (২৯) মৃত্যুবরণ করেন।
আবু রায়হান রাহিমের মা মোছাঃ রওশন আরা বেগম বাদী হয়ে দুপচাঁচিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার ২৮ অক্টোবর সাড়ে ৬ সাড়ে টায় র্যাব সদর দপ্তর ইন্ট উইং এর সহযোগিতায় র্যাব-১২, সিপিএসসি, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার জামালগঞ্জ বাজারে অভিযান পরিচালনা করে মামলার প্রধান আসামী দুপচাঁচিয়া থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সক্রিয় কর্মী এবং দুপচাঁচিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ বেলাল হোসেন (৪৮) গ্রেফতার।
গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার পিতা-মৃত ছৈমুদ্দীন পুত্র মোঃ বেলাল হোসেন গ্রাম পাইকপাড়া, থানা-দুপচাঁচিয়া, আসামীর নিকট হতে ১টি মোবাইল ও ১টি সীম জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুপচাঁচিয়া থানা এর নিকট হস্তান্তর করা হয়।