সাভারে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুট
সটাফ রিপোর্টার অভি খায়রুল ইসলাম সাভার
ঢাকার সাভারে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করার ঘটনায় ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করে এখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্তরা ওই ব্যবসায়ীকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। যে কারণে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ব্যবসায়ীর পরিবার। এমনি অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ভুক্তভোগী।
জানাগেছে, পৌর এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেনের সাথে পূর্বশত্রুতা ছিল একই এলাকার আব্বাস উদ্দিন, আলামিন, হিমেল, আফতাব, বিল্লালসহ এদের অনেকের সাথে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পটভূমি পরিবর্তনের সুযোগে এরা ওইদিনই সন্ধ্যার আগে হামলা চালায় ব্যবসায়ী সোহরার হোসেনের বাড়িতে। এ সময় দুর্বৃত্তরা বাড়ির আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীসহ সমস্ত মালামাল ভাংচুর করে। আলমারী ভেঙ্গে স্বর্ণের গহনা, নগদ টাকাসহ প্রায় ৯লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়।
সোহরাব হোসেন আরও বলেন, আমার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে টেনে হিচড়ে নিয়ে মারধর ও বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
পরে দুর্বৃত্তরা পাশেই ছোট ভাই আশরাফ উদ্দিনের বাড়িতেও হামলা করে ভাংচুর করে। তখন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানজিল হক তন্দ্রা বাধা দিলে হামলাকারীরা তাকেও মারধরের পর বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
তখন তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। এঘটনায় ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন সাভারের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি গণমাধ্যমকে আরও জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্তরা ক্ষ্রীপ্ত হয়ে সোহরাব হোসেন ও তার পরিবারকে আবারো হামলা করার চেষ্টা করে। এছাড়াও সোহরাব হোসেনকে ছাত্র হত্যার মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে বলে হুমকী দেয় আব্বাস, আলআমিন ও হিমেল। এ ধরনের হুমকীর কারণে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন সোহরাব ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সোহরাব হোসেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে গেলে সংবাদকর্মীদের তারা কোন বক্তব্য দেননি।
এলাকাবাসীদের অনেকেই জানান, আব্বাস, আলআমিন, হিমেল, আফতাব ও বিল্লাল সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান ও পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য কাউন্সিলর রমজান আহমেদের অনুসারী।