টঙ্গীবাড়ীতে সাংবাদিকের নাম ভাঙিয়ে চলছে রমরমা ড্রেজার বানিজ্য
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে কথিত ভূয়া সাংবাদিক জসিম শেখ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ ড্রেজার বানিজ্য চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সে ধীপুর ইউনিয়নের মটুকপুর গ্ৰামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জসিম শেখ তাঁর নিজের বাড়ির কথা বলে তাঁর ভাইরে শশুর বাড়ী ফসলি জমি কেটে রাস্তার পাশে জমি ভরাট করছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য।
জসিম শেখার দুই ভাইদের সাথে সরজমিনে গিয়ে কথা বলে জানা যায়, তিনি নিজ নাকি (ইউএনও) ও (ডিসি) অফিস থেকে জমি কাঁটার ও ভরাট করার অনুমতি এনেছে।
এছাড়াও গ্ৰামের বিভিন্ন বয়সের লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, জসিম শেখ অনেক বড় মাপের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে এলাকায় প্রভাব দেখিয়ে ভেড়ায়।
তাকে জমি কাঁটা বাঁ ভরাট বিষয়ে গ্ৰামের লোকজন জিজ্ঞেস করলে বলে, আমি অনুমতি ছাড়া কোন কাজ করি না।
ঘটনার স্থলে সংবাদ সংগ্রহের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের খবর পৌঁছে যায় জসিম শেখার কাছে।
এখানে মাটি কাঁটা ও ভরাট করার যে অনুমতি পেয়েছেন সে কাগজটা দেখতে চাইলে জসিম শেখ বলেন, ভাই এইগুলোর অনুমতি কে দিবে,আপনারা তো সবই বুঝেন, ম্যানেজ করে চলি।
জসিম শেখের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আগে দর্জির দোকানদার ছিলাম, বর্তমানে এখন আমি মুরগির ব্যবসা করি।
তাকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনি কোন পত্রিকায় কাজ করেন, তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি।
উপায় না পেয়ে তিনি মুন্সিগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক সভ্যতার আলোর স্টাফ রিপোর্টার পরিচয় দেন।
সভ্যতার আলো পত্রিকারা অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারা যায় তিনি কোন স্টাফ রিপোর্টার নন।
এছাড়াও তিনি টঙ্গীবাড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (আবু বাক্কর মাঝি) নাম বিক্রি করার চেষ্টা করে।
সভ্যতার আলোর পত্রিকায় টঙ্গীবাড়ি উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন (আবু বাক্কর মাঝি)।
আরো তথ্য পাওয়া যায়, টঙ্গীবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির ভিত্তিহীন কমিটি করে সভাপতি পদ পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
কিন্তু তিনি কোন পত্রিকায় প্রতিনিধি হিসেব নেই, কথিত ভূয়া সাংবাদিক জসিম শেখ।
মুন্সীগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহনাজ বেগম হীরার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় কোনো কমিটি দেইনি। তারা কিভাবে কমিটি করেছে সেটা জানা নাই।
আড়িয়ল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সেলিম হোসেন বলেন, সরেজমিনে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ববি মিতু বলেন বিষয়টি আমি জানা ছিল না আমি বিষয়টি দেখছি।