নয়া কণ্ঠ ইসলামি ডেস্কঃ
মাহমুদুল হাসান
আল্লাহ আমাকে আপনাকে একটি সহজ জীবন অতিবাহিত করার জন্য এ দুনিয়াতে রাখেননি। আল্লাহ আমাদের এ দুনিয়াতে রেখেছেন একটি পরীক্ষায় পাশ করার জন্য।
আমাদের প্রত্যেকের পরীক্ষাটা ইউনিক। আপনার পরীক্ষাটা সম্পূর্ণ পৃথকভাবে শুধু আপনারই জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন- لِّيَبْلُوَكُمْ فِي مَا آتَاكُمْ – “…আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি ওগুলোর মাধ্যমে তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য…।” (৬:১৬৫) প্রতিটি ব্যক্তির পরীক্ষা অনুপম, স্বতন্ত্র এবং শুধুই ঐ ব্যক্তির জন্য বানানো হয়েছে (custom-made)।
নিজের পরীক্ষাটা বুঝতে পারার পর এ পরীক্ষায় পাস করার জন্য সবকিছু উৎসর্গ করে দিন। এই পরীক্ষায় পাস করার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুর অস্তিত্ব নেই। কারণ শেষ বিচারের দিন মানুষ এতোটাই মরিয়া হয়ে উঠবে যে– “সেদিন গোনাহগার ব্যক্তি পণস্বরূপ দিতে চাইবে তার সন্তান-সন্ততিকে, তার স্ত্রীকে, তার ভ্রাতাকে, তার গোষ্ঠীকে যারা তাকে আশ্রয় দিত এবং পৃথিবীর সবকিছুকে, অতঃপর নিজেকে রক্ষা করতে চাইবে।” সূরা মা’আরিজ।
তাই, নিজের জীবন এনালাইসিস করে বুঝতে চেষ্টা করুন যে, আমাকে কিভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটা কি হারাম টাকা? কোনো মেয়ে? হারাম সম্পর্ক? বিপদাপদ? অসুখ-বিসুখ? যদি হারাম কিছু হয় তাহলে এটা থেকে হিজরত করুন। বহুদূর পালিয়ে যান। কারণ, শেষ বিচারের দিন আপনার অবস্থা যেন সে ব্যক্তির মত না হয় যে আফসুস করে বলবে- “যদি মন্দ কাজ ও তার মধ্যে বহুদূর ব্যবধান হত!” (৩:৩০) যদি পাপ থেকে হিজরত করতে পারেন এবং এরপর উত্তম আমল করেন তাহলে আল্লাহ আপনার পাপগুলোকে পুণ্যে রূপান্তরিত করে দিবেন।
আর যদি কষ্টকর কিছু হয় তাহলে ধৈর্য ধরুন। ধৈর্য যে শুধু আপনাকে শাস্তি থেকে বাঁচাবে তা নয়, ধৈর্য আপনাকে জান্নাতে প্রবেশকারীদের একেবারে প্রথম দিকে নিয়ে আসবে এবং জান্নাতে প্রবেশের আটটি দরজার সবগুলো আপনার জন্য উন্মুক্ত হয়ে পড়বে।