1. sheikhrobirobi008@gmail.com : dailynayakontho :
  2. nayakontho@gmail.com : nayakontho :
  3. admin@dailynayakontho.com : unikbd :
রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রতারক চক্রের হুমকি, সাংবাদিককে হত্যা ও মিথ্য মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা রাজশাহীতে আইন উপদেষ্টা নির্বাচন প্রসঙ্গ এড়িয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশংসা।         আওলিয়ায়ে কেরামের আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেই বাতিল মতবাদের প্রভাব থেকে মুক্তি ও জীবনকে সুন্দর করা সম্ভব স্কুলে নেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী  ক্লাসরুম ভাড়া হয় আবাসিক হোটেল আদলে প্রকৌশলীদের আল্টিমেটামের সমাপ্তি, পুনরায় রাজপথে রুয়েট শিক্ষার্থীরা।   মতলুবর স্যারের পাঠ জয়পুরহাটে তিনটি হিমাগার থেকে গোপনে ৫০ হাজার বস্তা আলু বিক্রি! মেহেরপুরে শ্বশুর হত্যার অভিযোগে জামাই আলমগীর হোসেনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমান অনাদায়ে আরো দুই বছরের দেওয়া হয়েছে। রায়পুর পৌরসভার লাইসেন্স শাখায় ঘুষ ও অনিয়ম,অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তানোর সদর ইউনিয়ন ভূমি  অফিস পরিদর্শন করলেন ড:চিত্রলেখা নাজনীন।        

কেন ইউসুফ (আঃ) এর প্রতি হিংসা বিদ্বেষ ও ষড়যন্ত্র করেছিলেন তার ভাইয়েরা – নয়া কণ্ঠ

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩
  • ২২১ বার পঠিত

নয়া কণ্ঠ ইসলাম ডেস্ক ঃ (মাহমুদুল হাসান)

১২:৭ لَقَدۡ کَانَ فِیۡ یُوۡسُفَ وَ اِخۡوَتِهٖۤ اٰیٰتٌ لِّلسَّآئِلِیۡنَ ﴿۷﴾৭. অবশ্যই ইউসুফ এবং তার ভাইদের(১) ঘটনায় জিজ্ঞাসুদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।(২)(১) আলোচ্য আয়াতে ইউসুফ আলাইহিস সালাম-এর ভাইদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইউসুফসহ ইয়াকুব আলাইহিস সালাম-এর বারজন পুত্র সন্তান ছিল। তাদের প্রত্যেকেরই সন্তান-সন্ততি হয় এবং বংশ বিস্তার লাভ করে। ইয়াকুব আলাইহিস সালাম-এর উপাধি ছিল ইসরাঈল। তাই বারটি পরিবার সবাই ‘বনী-ইসরাঈল’ নামে খ্যাত হয়। ইউসুফ আলাইহিস সালাম-এর একমাত্র সহোদর ভাই ছিলেন বিনইয়ামীন এবং অবশিষ্ট দশজন বৈমাত্রেয় ভাই। [বাগভী; কুরতুবী; আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ১/৪৫৫]

(২) এ আয়াতে বর্ণিত নিদর্শনসমূহ কি? এ ব্যাপারে কয়েকটি মত রয়েছে। এক. এতে রয়েছে উপদেশ ও শিক্ষা। দুই. আশ্চর্যজনক কথাসমূহ। তিন. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াতের প্রমাণ। কারণ, তিনি এ ঘটনা জানতেন না, যদি তার কাছে ওহী না আসে তো তিনি তা কিভাবে জানালেন? চার. এর অর্থ হচ্ছে, যারা প্রশ্ন করে জানতে চায় এবং যারা জানতে চায় না তাদের সবার জন্যই রয়েছে নিদর্শন। কোন কোন মুফাসসির বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য এ কাহিনীর মধ্যে অনেক প্রকার শিক্ষা রয়েছে। যেমন, এতে রয়েছে ভাইদের হিংসা, তাদের হিংসার পরিণতি, ইউসুফের স্বপ্ন এবং এর বাস্তবায়ন, কুপ্রবৃত্তি থেকে, দাসত্ব অবস্থা, বন্দিত্ব অবস্থা ইত্যাদিতে ইউসুফের সবর, বাদশাহী প্রাপ্তি, ইয়াকুবের পেরেশনী, তার ধৈর্য। শেষ পর্যন্ত প্রার্থিত অবস্থায় উপনীত হওয়া ইত্যাদি সবই এখানে নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হবে। [বাগভী] তাই এ সূরায় বর্ণিত ইউসুফ আলাইহিস সালাম-এর কাহিনীকে শুধুমাত্র একটি কাহিনীর নিরিখে দেখা উচিত নয়; বরং এতে জিজ্ঞাসু ও অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তিবর্গের জন্য আল্লাহ তা’আলার অপার শক্তির বড় বড় নিদর্শন ও নির্দেশাবলী রয়েছে।

১২:৮ اِذۡ قَالُوۡا لَیُوۡسُفُ وَ اَخُوۡهُ اَحَبُّ اِلٰۤی اَبِیۡنَا مِنَّا وَ نَحۡنُ عُصۡبَۃٌ ؕ اِنَّ اَبَانَا لَفِیۡ ضَلٰلٍ مُّبِیۡنِۣ ۚ﴿ۖ۸﴾৮. স্মরণ করুন, তারা বলেছিল, আমাদের পিতার কাছে ইউসুফ এবং তার ভাই তো আমাদের চেয়ে বেশী প্রিয়, অথচ আমরা একটি সংহত দল; আমাদের পিতা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই আছে।(১)এ আয়াত থেকে ইউসুফ আলাইহিস সালাম-এর কাহিনী শুরু হয়েছে। ইউসুফ ‘আলাইহিস সালাম-এর ভ্রাতারা পিতা ইয়াকুব আলাইহিস সালাম-কে দেখল যে, তিনি ইউসুফের প্রতি অসাধারণ মহব্বত রাখেন। ফলে তাদের মনে হিংসা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। তারা পরস্পর বলাবলি করলঃ আমরা পিতাকে দেখি যে, তিনি আমাদের তুলনায় ইউসুফ ও তার অনুজ বিনইয়ামীনকে অধিক ভালবাসেন। অথচ আমরা দশজন এবং তাদের জ্যেষ্ঠ হওয়ার কারণে গৃহের কাজকর্ম করতে সক্ষম। তারা উভয়েই ছোট বালক বিধায় গৃহস্থালীর কাজ করার শক্তি রাখে না। আমাদের পিতার উচিত হল এ বিষয় অনুধাবন করা এবং আমাদেরকে অধিক মহব্বত করা। আমাদের পিতা আসলে প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে মোটেই ওয়াকিবহাল নন। তার উচিত আমাদেরকে প্রাধান্য দেয়া। কিন্তু তিনি প্রকাশ্যে অবিচার করে যাচ্ছেন। তাই তোমরা হয় ইউসুফকে হত্যা কর, না হয় এমন দূর দেশে নির্বাসিত কর, যেখান থেকে সে আর ফিরে আসতে না পারে।

اقۡتُلُوۡا یُوۡسُفَ اَوِ اطۡرَحُوۡهُ اَرۡضًا یَّخۡلُ لَکُمۡ وَجۡهُ اَبِیۡکُمۡ وَ تَکُوۡنُوۡا مِنۡۢ بَعۡدِهٖ قَوۡمًا صٰلِحِیۡنَ ﴿۹﴾اقتلوا یوسف او اطرحوه ارضا یخل لکم وجه ابیکم و تکونوا منۢ بعدهٖ قوما صلحین ﴿۹﴾
৯. তোমরা ইউসুফকে হত্যা কর অথবা কোন স্থানে তাকে ফেলে আস, তাহলে তোমাদের পিতার দৃষ্টি শুধু তোমাদের দিকেই নিবিষ্ট হবে এবং তারপর তোমরা ভাল লোক হয়ে যাবে।(১)(১) এ আয়াতে ভাইদের পরামর্শ বর্ণিত হয়েছে। কেউ কেউ মত প্রকাশ করল যে, ইউসুফকে হত্যা করা হোক। কেউ বললঃ তাকে কোন অন্ধকূপের গভীরে নিক্ষেপ করা হোক- যাতে মাঝখান থেকে এ কন্টক দূর হয়ে যায় এবং পিতার সমগ্র মনোযোগ তোমাদের প্রতিই নিবদ্ধ হয়ে যায়। হত্যা কিংবা কুপে নিক্ষেপ করার কারণে যে গোনাহ হবে, তার প্রতিকার এই যে, পরবর্তীকালে তাওবা করে তোমরা সাধু হয়ে যেতে পারবে। আয়াতের (وَتَكُونُوا مِنْ بَعْدِهِ قَوْمًا صَالِحِينَ) বাক্যের এক অর্থ তাই বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়া এরূপ অর্থও হতে পারে যে, ইউসুফকে হত্যা করার পর তোমাদের অবস্থা ঠিক হয়ে যাবে। [কুরতুবী] অথবা অর্থ এই যে, হত্যার পর পিতা-মাতার কাছে তোমরা আবার পূর্বাবস্থায় ফিরে আসবে। কাউকে আর প্রাধান্য দেয়ার বিষয় থাকবে না। [কুরতুবী]

ইউসুফ আলাইহিস সালাম-এর ভ্রাতারা যে নবী ছিল না, উপরোক্ত পরামর্শ তার প্রমাণ। কেননা, এ ঘটনায় তারা অনেকগুলো কবীরা গোনাহ করেছে। একজন নিরপরাধকে হত্যার সংকল্প, পিতার অবাধ্যতা এবং তাকে কষ্ট প্রদান, চুক্তির বিরুদ্ধাচরণ ও অসৎ চক্রান্ত ইত্যাদি। [কুরতুবী; ইবন কাসীর]

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
২০২৫ © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed By UNIK BD