ইবিতে প্রথম বারের মতো ন্যাশনাল সাইন্স ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত।
তারিকুল ইসলাম, ইবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা বিষয়ক সংগঠন সাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে প্রথমবারের ন্যাশনাল সাইন্স ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল ৯ টা থেকে দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবন ও এম. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে এ ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।ফেস্টটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো: ইনজামুল হক।
সাইন্স ক্লাবের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ফেস্টিভ্যালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্ত অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: মনজুরুল হক, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.মো: রেজওয়ানুল হক ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.মোসা: কামরুননাহার এবং আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইন্স ক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শাহজাহান আলী প্রমুখ।
উক্ত সাইন্স ফেস্টিভ্যালে সাইন্স অলিম্পিয়াড, রুবিক্স কিউব কম্পিটিশন, পোস্টার পেজেন্টেশন ও ট্রেজার হান্টসহ মোট চারটি সেগমেন্টে স্কুল, কলজে ও বিশ্ববিদ্যালয় এই তিন ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। এবং বিকালে ৪টার দিকে প্রতিযোগিতা শেষে মোট চারটি সেগমেন্টে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
এসময় অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করতে আসা কুষ্টিয়া এডুকেয়ার একাডেমির শিক্ষার্থী আদিল সরকার মাহির কাছে অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ প্রতিযোগিতা আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। আমি এখানে শিখতে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসে পরীক্ষা দেয়া আমার জন্য এক দারুণ অনুভূতি। যা আমার ভবিষ্যতে কাজে দিবে। আয়োজকদের প্রতি জানাই কৃতজ্ঞতা।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইন্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেছি। এধরণের কার্যক্রম হলে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্ক মনোভাব বা বিজ্ঞানপ্রিয়তা বাড়ে।
বিষয়ে সাইন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ফেস্টিভ্যাল কো-অর্ডিনেটর আরমান হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো সাইন্স ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে যে সাড়া পেয়েছি, তা আমাদের ব্যাপক সাহস জুগিয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিজ্ঞান চর্চার ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।’