1. sheikhrobirobi008@gmail.com : dailynayakontho :
  2. nayakontho@gmail.com : nayakontho :
  3. admin@dailynayakontho.com : unikbd :
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ-বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে মারামারি, নিহত ২ নড়াইল ও কালিয়ায় ছুরিকাঘাতে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ব্যক্তি খুন আহত ৩০ শুভ নববর্ষ ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর অকাল মৃত্যু! পুলিশের উপস্থিততে চিকিৎসককে মারধর রাবি ভর্তি পরীক্ষা শুরু কাল, থাকছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা দূর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক সিগনাল স্থাপন করলো রাবি ছাত্রদল ফিলিস্তিন ইস্যুতে ভালুকা উত্তাল: জুমার পর সিডস্টোর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে গণমিছিল আমতলীতে জলবায়ু সংকট নিরসনের দাবীতে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাদল খানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরন ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি জয়নাল, সম্পাদক কবির

২ কোটি টাকার বাস টার্মিনাল আসছেনা কাজে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১০৩ বার পঠিত

২ কোটি টাকার বাস টার্মিনাল আসছেনা কাজে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র

জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী,কৃষ্ণ কুমার সরকার

রাজবাড়ী শহর থেকে দূরে হওয়ায় এবং যাত্রী না পাওয়ায় বাসমালিকেরা টার্মিনাল ব্যবহার করছেন না। এতে টার্মিনাল ভবন ও আসবাব নষ্ট হচ্ছে।

রাজবাড়ীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি দীর্ঘ ৩০ বছরেও পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। এতে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাস টার্মিনালের অবকাঠামো, আসবাব ও অন্য মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সন্ধ্যা হলে এখানে বসে মাদকসেবীদের আড্ডা।

স্থানীয় লোকজন এবং বাসমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজবাড়ী শহর থেকে দূরে হওয়ায় এবং যেখানে টার্মিনাল, সেখানে যাত্রী না পাওয়ায় বাসমালিকেরা টার্মিনাল ব্যবহার করছেন না। এতে টার্মিনালটি বেশ কয়েকবার চালু করলেও পরে বন্ধ হয়ে যায়।

জেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদের অর্থায়নে ১৯৯৪ সালে ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী জেলা বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৪ একর ২০ শতাংশ জায়গায় টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৪ সালের ১৯ এপ্রিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহানারা বেগম এটি উদ্বোধন করেন। কিছুদিন চালু থাকার পর এটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০০০ সালে টার্মিনালটি জেলা পরিষদ থেকে রাজবাড়ী পৌরসভায় হস্তান্তর করা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় টার্মিনালটি আবার চালু করা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে টার্মিনালটি পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়।

বাসমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজবাড়ী সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ পৌরসভা থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে টার্মিনাল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে শহরের মুরগির ফার্ম এলাকায় বাস রাখার ব্যবস্থা করেছে। সেখানে পার্কিং চার্জ বাবদ প্রতিটি বাস থেকে ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এবার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক লিটনের নামে প্রায় ৩০ লাখ টাকার বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ না করায় বাস টার্মিনালের ১০টি টিকিট কাউন্টারসহ ১৫টি কক্ষের দরজা–জানালা ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বাস টার্মিনাল ভবনের বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়ছে। টার্মিনালের শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। চারপাশ আগাছা-জঙ্গলে ভরে গেছে।

জেলা ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ‘টার্মিনালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।’

কয়েকজন পরিবহনশ্রমিক বলেন, টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় পরিবহনমালিক বা সংগঠনের নেতাদের স্বার্থে বর্তমানে রাজবাড়ী শহরের মুরগির ফার্ম, বড়পুল ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের কার্যালয়ের সামনে মহাসড়ক থেকে যাত্রী ওঠানামা করানো হয়। বাস কাউন্টার করা হয়েছে মালিক গ্রুপের কার্যালয়ের নিচতলায়।

রাজবাড়ী সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সদস্য পরিমল কুমার সাহা বলেন, ‘ তিন চাকার যানগুলো টার্মিনাল ওভারটেক করে শহর থেকে যাত্রী আনা-নেওয়া করে। তাই বাধ্য হয়ে তাদের মতো আমরাও শহরের বড়পুল ও মুরগির ফার্ম এলাকার সড়কে বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করাই।’

পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মল্লিকা দে বলেন, ‘তিনি পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে টার্মিনালটি চালুর উদ্যোগ নেবেন।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
২০২৫ © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed By UNIK BD