1. sheikhrobirobi008@gmail.com : dailynayakontho :
  2. nayakontho@gmail.com : nayakontho :
  3. admin@dailynayakontho.com : unikbd :
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ-বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে মারামারি, নিহত ২ নড়াইল ও কালিয়ায় ছুরিকাঘাতে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ব্যক্তি খুন আহত ৩০ শুভ নববর্ষ ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর অকাল মৃত্যু! পুলিশের উপস্থিততে চিকিৎসককে মারধর রাবি ভর্তি পরীক্ষা শুরু কাল, থাকছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা দূর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক সিগনাল স্থাপন করলো রাবি ছাত্রদল ফিলিস্তিন ইস্যুতে ভালুকা উত্তাল: জুমার পর সিডস্টোর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে গণমিছিল আমতলীতে জলবায়ু সংকট নিরসনের দাবীতে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান বাদল খানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরন ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন সভাপতি জয়নাল, সম্পাদক কবির

বহুল প্রতিক্ষিত রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। দৈনিক নয়া কণ্ঠ   

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৩৬ বার পঠিত

বহুল প্রতিক্ষিত রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ।

রাজশাহী ব্যুরো ঃ আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বহুল প্রতিক্ষিত রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) স্থাপন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরীর বাজেসিলিন্দা এলাকায় অধিগ্রহণকৃত নিজস্ব জমিতে প্রধান অতিথি হিসেবে রামেবি উপাচার্য প্রফেসর ডা: মোহাঃ জাওয়াদুল হক অতিথিদের নিয়ে ফলক উন্মোচন, বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে এই স্থাপনা প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় রামেবি’র কোষাধ্যক্ষ ডা: মোঃ জাকির হোসেন খোন্দকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: খন্দকার মো. ফয়সল আলম ,  অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন  রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা ড. কেরামত আলী, বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হক মিলন প্রমুখ। সভায় রামেবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মোঃ আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সুধিজন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অধিভুক্ত বিভিন্ন মেডিকেল ও নার্সিং কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও রামেবির কর্মকর্তাকর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রামেবির উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোঃ জাওয়াদুল হক বলেন, উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও সেবার মান এবং সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারণে ২০১৬ সালে দেশে ৪টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে রামেবির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। সে হিসেবে রামেবির বয়স প্রায় ৮ বছর। এসময়ের মধ্যে প্রকল্প প্রণয়ন, প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও অনুমোদন, ভূমি অধিগ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট বহু কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই কাজে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, জেলা প্রশাসন, গণপূর্ত বিভাগ ও স্বাস্থ্য প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছেন। আর আজ উদ্বোধনের মাধ্যমে নিজস্ব জায়গায় রামেবির অবকাঠামো নির্মাণের যাত্রা শুরু হলো। খুব শীঘ্রই দৃশ্যমান হবে রামেবি।

উপাচার্য আরো বলেন, রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার আওতাধীন বড়বনগ্রাম, বাজে সিলিন্দা ও বারইপাড়া মৌজার অংশ নিয়ে মোট ৬৭.৬৭৯২ একর জমির উপর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। তিনি বলেন, রামেবি হবে পরিবেশ বান্ধব ও সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। পূর্ণাঙ্গ প্রকল্পটি দুটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ১২শ’ শয্যাবিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল ভবন, যা বেসমেন্টসহ ১২ তলা। এই হাসপাতাল ভবনটির মোট আয়তন হবে প্রায় ১২ লক্ষ বর্গফুট। বিশ্বমানের সকল সুবিধাদি এখানে বর্তমান থাকবে। এখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইসিইউ, অত্যাধুনিক ওটি রুম ও পোস্ট অপারেটিভ রুম সমূহ থাকবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা সহকারে পর্যাপ্ত ওয়ার্ড ও কেবিনের ব্যবস্থা থাকবে। কেবিন এবং ওয়ার্ডের বেডসমূহে মেডিকেল গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা থাকবে। রোগীদের নিকট হতে স্যাম্পল কালেকশনের পর মনুষ্য পরিবহন ব্যতিরেকেই পাইপ লাইনের মধ্য দিয়ে নিউমেটিক প্রেসার এর মাধ্যমে সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালে বৃহদায়তন ২২ টি লিফটের পাশাপাশি থাকবে ৪ টি এসকেলেটর। হাসপাতলে বিদ্যুৎ সংযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে তিন স্তরের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা থাকবে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হাসপাতাল ভবনের জন্য উন্নতমানের দুইটি আলাদা বৃহদাকার পাওয়ার জেনারেশন ইউনিটের ব্যবস্থা থাকবে। অগ্নিসংক্রান্ত দুর্ঘটনা এড়াতে ভবনের অভ্যন্তরীণ ফাইয়ার ফাইটিং ব্যবস্থার পাশাপাশি, অতিরিক্ত সর্তকতা হিসেবে একটি স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন নির্মিত হবে। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা থাকবে এবং থাকবে আধুনিক নার্স কলিং সিস্টেম। হাসপাতালের সন্নিকটেই থাকবে বেসমেন্টসহ ১০ তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক একাডেমিক ভবন।

উপাচার্য বলেন, প্রথম পর্যায়ের নির্মাণের শেষেই, যাতে করে এই ক্যাম্পাস হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনটি ডরমেটরী, একটি মর্গ, একটি স্কুল, একটি মসজিদ, তিনটি বিদ্যুতের সাব-স্টেশন, একটি স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া নির্মিত হবে সীমানা প্রাচীর, সুদৃশ্য তিনটি গেইট, বিশটি নিরাপত্তা চৌকি যাতায়াতের জন্য রাস্তা, পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা, নিজস্ব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে। সর্বোপরি এই হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল এর পরিবেশ। পরিবেশের উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে এখানে থাকবে প্রায় ৯ একরের একটি জলাধার। এটি সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস ও এর আশেপাশের এলাকার প্রয়োজনীয় আদ্রতা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে। অন্যদিকে এটি বৃষ্টির পানি ও ক্যাম্পাসের ব্যবহৃত পানির আধার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। উল্লেখ্য যে, যথাযথ শোধনের পরেই ব্যবহৃত পানি জলাধারে সংরক্ষণ করা হবে। এই সবুজ ক্যাম্পাসের সবুজের সমারহ যথাসম্ভব অক্ষুণ্ন রাখা হবে। সে লক্ষ্যে বেশ কিছু গাছ না কেটে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক উপযুক্ত শ্রেণীর নতুন বৃক্ষ রোপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরফলে আগামী প্রজন্মের জন্য প্রকৃতির কোলে আধুনিকতার ছোয়ায় এখানে গড়ে উঠবে একটি বিশ্বমানের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

তিনি আরো বলেন, অবকাঠামো নির্মাণ কাজের পাশাপাশি চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়নে খুব দ্রুত চিকিৎসা বিজ্ঞান ও নার্সিং এর বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের স্নাতকোত্তর কোর্স সমূহ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরফলে বিশ্বমানের দক্ষ ও বিজ্ঞ চিকিৎসকসহ স্বাস্থকর্মী তৈরি হবে। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭৬ কোটি টাকা। এছাড়া নির্মাণ কাজে ধরা হয়েছে ১০০৩ কোটি টাকা এবং যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রের জন্য আনুসাঙ্গিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ২০২৭ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায়ের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে আরো ৪টি একাডেমিক ভবন, ৩টি হল ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ৪০ টি বাসভবন, ১টি লাইব্রেরি ভবন, ১টি টিএসসি ভবন, ১টি জিমনেসিয়াম, ১টি অডিটোরিয়াম, ১টি শহীদ মিনার, ১টি মন্দির, ১টি আন্তর্জাতিক মানের গেস্ট হাউজ ও হোটেল এবং ১টি বাণিজ্যিক ভবন।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
২০২৫ © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed By UNIK BD