জয়পুরহাটের সবজি ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করে দিন বদলেছে জাবেদের
মোঃ শাহাবউদ্দিন ইসলাম ঃ আক্কেলপুর প্রতিনিধি
জয়পুরহাট জেলার প্রতিদিন এক এক উপজেলার বিভিন্ন স্থান / হাট যেমন – জয়পুরহাট সদরসহ, কালাই, আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও পাঁচবিবি থেকে প্রতিদিন কয়েক মণ বিভিন্ন ধরনের সবজি সংগ্রহ করেন জাবেদ আলী প্রামাণিক। পরে ট্রাকযোগে ঢাকায় নিয়ে সেসব বিক্রি শেষে রাতেই আবার বাড়ি ফেরেন। পরদিন আবার চলে এই কর্মযজ্ঞ। ১৯৯৫ সাল থেকে এভাবেই চলছে। এই কাজের মধ্য দিয়েই দিন বদলে গেছে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার পাঁচগ্রামের বাসিন্দা জাবেদ আলী প্রামাণিকের জীবনে ।
জাবেদ আলী প্রামাণিকের সামান্য জমি দিয়ে কীভাবে সংসার চলবে, তা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এরই মধ্যে ১৯৯৫ সালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ করা হয়। তাতে ঢাকায় চলাচল সহজ হয়। তখন তাঁর মাথার ঢাকা শহরে সবজি রপ্তানির বুদ্ধি আসে। সেই থেকেই এ ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এরপর তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন স্ত্রী আর দুই ছেলেকে নিয়ে তাঁর দিন চলে মহাসুখে ।
একই গ্রামের সবজি ব্যাবসায়ী হারুন শেখ বলেন, ব্যাপারী জাবেদ আলী প্রামাণিক প্রতিদিন জয়পুরহাট সদরসহ, কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর ও পাঁচবিবির বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে নেন। পরে শ্রমিকের সাহায্যে সেগুলো ট্রাকে লোডের জন্য বস্তাবন্দী করে ভ্যানযোগে আড়ৎ এ নিয়ে যান। এ জন্য শ্রমিকরা একবেলা খাবারসহ প্রতি দিন ৬০০-৭০০ টাকা পারিশ্রমিক পান। তাতে তাঁদের সংসারও ভালোভাবে চলে।
জয়পুরহাট জেলায় উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি এখন জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সবজি ব্যাপারী জাবেদ আলী প্রামাণিকের ভূমিকা ইতিবাচক। জয়পুরহাটের সবজি ঢাকায় বিক্রি করে তিনি তাঁরসহ অন্তত ২৫ জন শ্রমিকের সংসারে সচ্ছলতা এনে দিয়েছেন।’
আক্কেলপুরের সবজি ব্যাবসায়ী বলেন, ‘বর্তমানে বৃষ্টির কারণে সবজির ফুল ও জালি ঝরে যাচ্ছে। তাই উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা বেড়ে গেছে। যাহোক, সামনে শীতকাল। সবজির ভরা মৌসুম। আশা করি, তখন সবজির উৎপাদন বাড়বে এবং দামও থাকবে সহনীয় পর্যায়ে।’ সবজি উৎপাদনে উর্বর জেলা জয়পুরহাট। এখানকার কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে প্রতিদিন। জাবেদ আলী প্রামাণিকের মতো অনেকেই এভাবে সবজি বিক্রি করে সচ্ছল জীবন যাপন করছেন।