গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সামাজিক সুরক্ষায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা শীর্ষক আলোচনা।
নিজস্ব প্রতিবেদক-
বাংলাদেশ অনলাইন অধিকার ফোরাম আয়োজিত,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও সামাজিক সুরক্ষায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা শীর্ষক আলোচনা ও অমর একুশে গানের রচয়িতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গাফফার চৌধুরী স্মারক সম্মাননা শনিবার (২০ মে) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, উদ্বোধনী বক্তা অতিরিক্ত এটর্নী জেনারেল ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট বার কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ মোখলেছুর রহমান এডভোকেট, প্রবন্ধ বক্তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রফেসর ডঃ এ কে এম নুর-উন-নবী, বিশেষ অতিথি ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সভাপতি সাংবাদিক ওমর ফারুক, দৈনিক নয়া কণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য নেত্রকোনা ৪ আসনে আওয়ামীলীগ এর মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হুসেন চৌধুরী,, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পদক অরুণ সরকার রানা, ডেপুটি এটর্নী জেনারেল এডভোকেট এস এম নজরুল ইসলাম, ডেপুটি এটর্নী জেনারেল এডঃ কাজী শাহানারা ইয়াসমিন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি এ বি এম বায়েজিদ এডভোকেট এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ অনলাইন অধিকার ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান এর সঞ্চালনায়, বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কথা স্মরণ করে বলেন যদি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হত তাহলে আমরা স্বাধীন নামের এই দেশটা হয়তো পেতাম না, পঁচাত্তর এর পরবর্তি সময়ের কথা তুলে ধরে বক্তারা বলেন,বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে দেশটাকে স্বাধীনতার হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তাই সেখান থেকে আবার দেশটাকে সুন্দর ভাবে সাজাতে আওয়ামীলীগ এর নেতা কর্মীরা জীবনের ভয় না করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় প্রত্যাবর্তন করায়।বক্তারা আরো বলেন ওই সময়টা যদি শেখ হাসিনা দেশে না আসতেন তাহলে এই দেশটা আবার পাকিস্তানিদের হাতে চলে যেত।এই দিনটাকে তারা বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক দিন হিসাবে আখ্যায়িত করেন।বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় দৈনিক নয়া কণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হুসেন চৌধুরী বলেন ৭১ সালের ২রা মার্চ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরি,দির্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করি,কিন্তু পাচ বছর যেতে না যেতেই ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধু কে মেরে ফেলে,যে বঙ্গবন্ধু নিজের কিশোর যৌবনের বেশি সময় কাটিয়েছে কারাগারে, শুধু এই বাঙ্গালীর স্বাধীনতার মুক্তির জন্য আর সেই বাঙ্গালি’ই বঙ্গবন্ধু কে মেরে ফেলবে এটা আমরা কখন’ই ভাবিনি, অবশেষে সকল শত্রুর পরাজয় ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেশে প্রত্যাবর্তন করাতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বাঙ্গালী সক্ষম হয়েছি, তিনি ‘শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কথা স্মরণ করে বলেন, আমি বিমানে চাকরি করাকালীন সেদিন সেই বিমানের প্রথম দরজা খুলে দেয় আমি এবং দরজা খুলতেই নেত্রীকে দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না, অজান্তেই পানি এসে গেল চোখে,নেত্রী আমাদের খোজ খবর নিলেন দেশের মানুষ কেমন আছে জানতে চাইলেন।একথা শুনেই বঙ্গবন্ধুর কথা মনে পড়ে গেল! বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরেছিলেন নিজের পরিবারের কথা জিজ্ঞাসা না করে সর্ব প্রথম দেশের মানুষের কথা বলেছিলেন যে, আমার দেশের মানুষ কেমন আছে। কতটুকু দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকলে একজন মানুষ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে আগে তার পরিবারের খোজ খবর না নিয়ে দেশের মানুষের খবর নেয়, আর সেই বঙ্গবন্ধু কে মেরে ফেলতে আমাদের বুকটা একবারও কাপলো না! সবশেষে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় অমর একুশে গানের রচয়ীতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গাফফার চৌধুরী স্মারক সম্মাননা প্রদান করেন সাংবাদিক ওমর ফারুক, ফয়জুল্লাহ সাঈদ,সাকাউদ্দিন রাজন,সৈয়দ হুমায়ন কবির কে।