তারিকুল ইসলাম, ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের উদ্যোগে ‘সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা, প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা’ বিষয়ে সমস্যা সমাধানে এক মতবিনিময় সভা ও “Python Programming Bootcamp: Beginner to Intermediate” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) দুপুর ২টায় বিভাগের ৩০৩ নম্বর কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএমই বিভাগের সভাপতি ড. মো. খাইরুল ইসলাম। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. মো. তারিক আরাফাত এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. বশির উদ্দিন।
সভায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা চাকরিক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে একাধিক প্রস্তাব ও দাবি উত্থাপন করেন। তাঁদের দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সায়েন্টিফিক অফিসার ও সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার পদে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ নিশ্চিত করা, মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালগুলোতে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য স্থায়ী পদ সৃষ্টি ও যথাযথ নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ, বিসিএসের টেকনিক্যাল বা প্রফেশনাল ক্যাডারে বিএমই গ্র্যাজুয়েটদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং শিল্প-কারখানা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর সংযোগ স্থাপনসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ইবি বায়োমেড ইনোভেটস ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. মাহফুজার রহমান বলেন, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ধারণা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে এই বিষয়ে লিখিতভাবে আমাদের দাবি তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছি। একই সঙ্গে বুয়েট ও কুয়েটের বিএমই বিভাগের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছি।
বুয়েটের বিএমই বিভাগের সভাপতি ড. মো. তারিক আরাফাত বলেন, শুধু দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হলেই চলবে না, পাশাপাশি সফট স্কিল ও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। যেকোনো কাজ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে করতে হবে। বর্তমানে চাকরিক্ষেত্রে আমাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে, ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো আমি গুরুত্ব দিয়ে নিয়েছি এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করব।
ইবির বিএমই বিভাগের সভাপতি ড. মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের যৌথ সভা বিভাগের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং গবেষণায় পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।