1. sheikhrobirobi008@gmail.com : dailynayakontho :
  2. nayakontho@gmail.com : nayakontho :
  3. admin@dailynayakontho.com : unikbd :
বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ইবিতে জুলাই-৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন রাজবাড়ীতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ঢাকতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন নড়াইল ডিবি পুলিশের অভিযানে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একজন গ্রেপ্তার গোয়ালন্দ পৌরসভায় এডিবির ট্রেন্ডার অনুষ্ঠিত ঘাটাইলে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সরিষাবাড়ীতে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করায় গ্রেপ্তার ৩ বালিয়াকান্দিতে পানিতে ডুবে শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু চসিক মেয়র ডাঃ শাহাদাত চলতি অর্থবছরের ২হাজার ১ শত ৪৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা চ্যাটজিপিটি দিয়ে অনলাইনে আয় ২০২৫ সালের স্মার্ট ইনকামের পথ

আগাছা পরিষ্কার না করে বিষ প্রয়োগ- নষ্ট হচ্ছে ১শ একর জমির ধান। নয়া কণ্ঠ

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৩ বার পঠিত

আগাছা পরিষ্কার না করে বিষ প্রয়োগ- নষ্ট হচ্ছে ১শ একর জমির ধান

হিরক খান ঃমেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরে বিএডিসির বীজ উৎপাদন খামারে কর্মকর্তাদের অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছে প্রায় ১শ একর জমির আমন ধান।
রোপনের পর থেকেই অযত্নেই বেড়ে উঠছে ধানে গাছ গুলো। এ নিয়ে শ্রমিকরা একাধিকবার কর্মকর্তাদের বললেও কোন কর্নপাত করেনি তারা। পুরো জমি জুড়ে আগাছাই ছেয়ে গেছে। দেখার যেন কেও নেই। পরে শ্রমিকদের চাপে আগাছা নিড়ানি না দিয়ে ঘাস পোড়া বিষ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএডিসি বীজ উৎপাদন খামারের শ্রমিকরা।
বিষ প্রয়োগের ফলে মরতে বসেছে ১শ একর জমির ধান। শ্রমিকদের অভিযোগ আগাছা তোলার জন্য শ্রমিকদের একটা বরাদ্দ থাকে সেই বরাদ্ধের টাকার কোন হদিস নেই। শ্রমিকদের যাতে টাকা দেয়া না লাগে সেজন্য শ্রমিকদের কাজে না লাগিয়ে ঘাস পোড়া বিষ প্রয়োগ করে কর্মরত কর্মকর্তারা। বীজ উৎপাদন খামারে চলতি মৌসুমে প্রায় ১শ ২০ একর জমিতে রোপন করা হয় আমন ধান। অযত্নে অবহেলায় বেড়ে ওঠা ধান গুলো থেকে কাঙ্খিতের চেয়ে অর্ধেকও ফলন পাওয়া যাবে না বলে দাবি শ্রমিকদের। বীজ উৎপাদন খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১শ একর জমিতে চাষ করা হচ্ছে আমন ধান। তবে প্রতিটি প্লটেই ধানের চাইতে বড় হয়েছে আগাছা। নেই পর্যাপ্ত পানি। শুকিয়ে যাচ্ছে ধান গাছ। ধান গাছগুলোর রং হলদে হতে শুরু করেছে। বারাদী বীজ উৎপাদন খামারের কয়েকজন শ্রমিক জানান, আগাছা না তুলে বিষ প্রয়োগ করেছে অফিসাররা। কিন্তু ধানের জমিতে ঘাস পোড়া বিষ দিলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়, এটা জেনেও তারা বিষ প্রয়োগ করেছে। ফলে ঘাস তো মরছেই সাথে সাথে ধান গাছও মরে যাচ্ছে। এছাড়াও শ্রমিকদের অভিযোগ বি প্লটে প্রায় ১৫ একর জমিতে অজ্ঞাত কারনে কোন ফসলের চাষ করেনি। অথচ নির্দেশ আছে এক টুকরো জমিও ফেলে রাখা যাবে না। আব্দুর রদিশ নামের এক শ্রমিক জানান, প্রতিটি প্লটেই ধানের চাইতে বড় হয়েছে আগাছা। নিড়ানি দেয়ার কোন খবর নেই। বিষ দিয়ে ঘাস মারার চেষ্টা করা হয়েছে। রশিদ আরও বলেন, ধান রোপনের ২০—২২ দিন পর নিড়ানি দিয়ে আগাছা দমন করা প্রয়োজন। কিন্তু রোপনের পর থেকে মাস পেরিয়ে গেলেও একবারও দেয়া হয়নি নিড়ানি। বীজ উৎপাদন খামারের শ্রমিক নেতা আলতাব হোসেন জানান, দিনের পর দিন নানা অনিয়ম করেছে সদ্য বদলি হওয়া উপপরিচালক মনিরুজ্জামান ও বর্তমান অতিরিক্ত উপপরিচালক হুমায়ন কবির। তাদের অযত্নে ও অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে শত একর জমির আমন ধান। বারবার বলার পরও তারা নিড়ানি না দিয়ে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু জমিতে নিড়ানি দেয়া হয়েছে। কিন্তু যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। এবিষয়ে অতিরিক্ত উপপরিচালক হুমায়ন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ভুল তো মানুষেরই হয়। এমনই হয়েছে। তবে এখন আর আগাছা নেই। আমরা দমন করে দিয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সামান্য পরিমান জমিতে আগাছা দমন হয়েছে, এমন প্রশ্নে তিনি অন্য ফোন এসেছে বলে কল কেটে দেন।
বর্তমানে সদ্য যোগদানকৃত উপপরিচালক মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরির সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া না যাওয়ায় তার মন্তব্য নেয়া যায়নি।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
২০২৫ © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed By UNIK BD