1. sheikhrobirobi008@gmail.com : dailynayakontho :
  2. nayakontho@gmail.com : nayakontho :
  3. admin@dailynayakontho.com : unikbd :
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ধামইরহাটে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান। ঘটনার আড়াই মাস পর মামলা করল নুরাল পাগলার পরিবার ভোলায় জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ আলোচনা সভা ও র‌্যালি রাজবাড়ী দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এক ব্যক্তির মৃত্যু সাভারে আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা ঠেকাতে সাভার মহানগর যুবদলের উদ্যোগে মোটরসাইকেল মোহরা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ, প্যানেল চেয়ারম্যান শাহজাহানের একক আধিপত্যে ক্ষোভ ভবন নির্মাণে দীর্ঘসূত্রতা, আড়াই বছর ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পাঠদান চলছে থানচির নারিকেল পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সাভারে আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা ঠেকাতে বিএনপির মোটরসাইকেল মোহরাও অবস্থান কর্মসূচি গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান টাঙ্গাইল নাগরপুরে সড়কের কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার জনগনের ভোগান্তি

আগাছা পরিষ্কার না করে বিষ প্রয়োগ- নষ্ট হচ্ছে ১শ একর জমির ধান। নয়া কণ্ঠ

  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৮৫ বার পঠিত

আগাছা পরিষ্কার না করে বিষ প্রয়োগ- নষ্ট হচ্ছে ১শ একর জমির ধান

হিরক খান ঃমেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরে বিএডিসির বীজ উৎপাদন খামারে কর্মকর্তাদের অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছে প্রায় ১শ একর জমির আমন ধান।
রোপনের পর থেকেই অযত্নেই বেড়ে উঠছে ধানে গাছ গুলো। এ নিয়ে শ্রমিকরা একাধিকবার কর্মকর্তাদের বললেও কোন কর্নপাত করেনি তারা। পুরো জমি জুড়ে আগাছাই ছেয়ে গেছে। দেখার যেন কেও নেই। পরে শ্রমিকদের চাপে আগাছা নিড়ানি না দিয়ে ঘাস পোড়া বিষ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএডিসি বীজ উৎপাদন খামারের শ্রমিকরা।
বিষ প্রয়োগের ফলে মরতে বসেছে ১শ একর জমির ধান। শ্রমিকদের অভিযোগ আগাছা তোলার জন্য শ্রমিকদের একটা বরাদ্দ থাকে সেই বরাদ্ধের টাকার কোন হদিস নেই। শ্রমিকদের যাতে টাকা দেয়া না লাগে সেজন্য শ্রমিকদের কাজে না লাগিয়ে ঘাস পোড়া বিষ প্রয়োগ করে কর্মরত কর্মকর্তারা। বীজ উৎপাদন খামারে চলতি মৌসুমে প্রায় ১শ ২০ একর জমিতে রোপন করা হয় আমন ধান। অযত্নে অবহেলায় বেড়ে ওঠা ধান গুলো থেকে কাঙ্খিতের চেয়ে অর্ধেকও ফলন পাওয়া যাবে না বলে দাবি শ্রমিকদের। বীজ উৎপাদন খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১শ একর জমিতে চাষ করা হচ্ছে আমন ধান। তবে প্রতিটি প্লটেই ধানের চাইতে বড় হয়েছে আগাছা। নেই পর্যাপ্ত পানি। শুকিয়ে যাচ্ছে ধান গাছ। ধান গাছগুলোর রং হলদে হতে শুরু করেছে। বারাদী বীজ উৎপাদন খামারের কয়েকজন শ্রমিক জানান, আগাছা না তুলে বিষ প্রয়োগ করেছে অফিসাররা। কিন্তু ধানের জমিতে ঘাস পোড়া বিষ দিলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়, এটা জেনেও তারা বিষ প্রয়োগ করেছে। ফলে ঘাস তো মরছেই সাথে সাথে ধান গাছও মরে যাচ্ছে। এছাড়াও শ্রমিকদের অভিযোগ বি প্লটে প্রায় ১৫ একর জমিতে অজ্ঞাত কারনে কোন ফসলের চাষ করেনি। অথচ নির্দেশ আছে এক টুকরো জমিও ফেলে রাখা যাবে না। আব্দুর রদিশ নামের এক শ্রমিক জানান, প্রতিটি প্লটেই ধানের চাইতে বড় হয়েছে আগাছা। নিড়ানি দেয়ার কোন খবর নেই। বিষ দিয়ে ঘাস মারার চেষ্টা করা হয়েছে। রশিদ আরও বলেন, ধান রোপনের ২০—২২ দিন পর নিড়ানি দিয়ে আগাছা দমন করা প্রয়োজন। কিন্তু রোপনের পর থেকে মাস পেরিয়ে গেলেও একবারও দেয়া হয়নি নিড়ানি। বীজ উৎপাদন খামারের শ্রমিক নেতা আলতাব হোসেন জানান, দিনের পর দিন নানা অনিয়ম করেছে সদ্য বদলি হওয়া উপপরিচালক মনিরুজ্জামান ও বর্তমান অতিরিক্ত উপপরিচালক হুমায়ন কবির। তাদের অযত্নে ও অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে শত একর জমির আমন ধান। বারবার বলার পরও তারা নিড়ানি না দিয়ে বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে সম্প্রতি কিছু জমিতে নিড়ানি দেয়া হয়েছে। কিন্তু যা ক্ষতি হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। এবিষয়ে অতিরিক্ত উপপরিচালক হুমায়ন কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ভুল তো মানুষেরই হয়। এমনই হয়েছে। তবে এখন আর আগাছা নেই। আমরা দমন করে দিয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সামান্য পরিমান জমিতে আগাছা দমন হয়েছে, এমন প্রশ্নে তিনি অন্য ফোন এসেছে বলে কল কেটে দেন।
বর্তমানে সদ্য যোগদানকৃত উপপরিচালক মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরির সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া না যাওয়ায় তার মন্তব্য নেয়া যায়নি।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
২০২৫ © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed By UNIK BD