বালিয়াকান্দিতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগে ৯ ইউপি সদস্যের পরিষদ বর্জন
নিজস্ব প্রতিবেদক (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ এনে ইউপি সদস্যদের পরিষদ বর্জন করাসহ প্রতিকার চেয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত ২০আগষ্ট মহিলা ইউপি সদস্য সাফিয়া বেগম, মর্জিনা বেগম, ইউপি সদস্য পলাশ চন্দ্র কর, আবু সাঈদ, আমিনুর রহমান বাবু, কাবিল উদ্দীন, কামরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, সাক্ষরিত অভিযোগ পত্রটি রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে প্রকাশ, বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর আওতায় নবাবপুর ইউনিয়নে ২৬লক্ষ টাকা এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৫৭লক্ষ ৯২ হাজার টাকা, বরাদ্ধ পাওয়া গেলেও যাহার ১৫ % কাজ করা হয় নাই।
কাজে শ্রমিকদের তালিকা করা হলেও তাদের দিয়ে কাজ করা হয় নাই। শ্রমিকদের নামে বিকাশ একাউন্ট করে সব সিম নিজের কাছে রেখে অর্থ উত্তলন করেন। কর্মসৃজন প্রকল্পে নন ওয়েজ নামে বরাদ্ধকৃত অর্থের কোন কাজ করা হয় না। বেরুলীয়া হাটের বিক্রয় লব্ধ অর্থ হতে ৪৬% অর্থ পেলেও তা পরিষদের কাওকে না জানিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। স্থায়ী সম্পদ বিক্রয়ে লব্ধ অর্থ হতে আনুমানিক ২০লক্ষ টাকা, ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স আদায়ের টাকা কোন কাজ করা হয় নাই। কাবিখা, কাবিটা, টিআর (সাধারণ) ইউনিয়ন পরিষদে এমপির বরাদ্ধকৃত কাজ সঠিক ভাবে না করা, ২৮৮৬ জনের মধ্যে ১ হাজার জনের কার্ড নিজ আয়ত্বে নিয়ে কার্ডের চাউল গোডাউনে রেখে আত্মসাৎ করেন। ৩৪৫ টি ভিডাব্লিপি কার্ড, রেশন কার্ড, মাতৃকালীন ভাতার কার্ডে অনিয়ম, সঠিক তত্থ্য না জানিয়ে রেজুলেশনে সাক্ষর করাসহ নিয়মিত মিটিং না করা, এডিপি/এলজি এসপি এর অর্থে কোথায় প্রকল্প নেওয়া হয় তা পরিষদকে না জানানো। এক কথায় পরিষদকে চেয়ারম্যান দূর্নীতির আখরা বানিয়ে ব্যবহার করে আসছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ইউপি সদস্যগণেরা জানান, এর প্রতিকার চেয়ে গত ১৭ আগষ্ট হতে ইউনিয়ন পরিষদ বর্জন করেছি।
এবিষয়ে নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর জানান,এখানে একক ভাবে কোন প্রকল্পের কাজ করার সুযোগ নাই। প্রতিপক্ষের ইন্দনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, নবাবপু ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যদের মধ্যে যে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে সেটা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর কোন নিয়ম না মেনে পরিষদ চালাচ্ছেন। তিনি নিজের ওয়ার্ড ছাড়া অন্য ওয়ার্ডে কাজ করেন না। আমি শুনেছি এক মহিলা সদস্যকে দিয়ে সে পরিষদ চালান। এই ঘটনায় ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করার কথা শুনেছি।