সাব -রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি করা নিয়ে সংঘর্ষ , আহত -৩
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদনকে কেন্দ্র করে দলিল লেখকদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দলিল লেখক শাকিল হোসেন, সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের নকল নবিশ আব্দুল মান্নান এবং নুরুন্নবী নিতু নামের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে দলিল লেখক তৌহিদুল ইসলাম দুইটি দলিল লিখে নিয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সম্পাদন করতে যান। এ সময় অফিসের প্রধান গেটে অন্য গ্রুপের দলিল লেখক জিয়াউর রহমান জিয়া এবং আবু হাসান অফিসের ভিতরে তাকে প্রবেশ করতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে তৌহিদুল জোর পূর্বক অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে দলিলটি সম্পাদন করার জন্য কর্মকর্তাদের নিকট দেন। এতেও তারা বাধা প্রধান করে। এ সময় রেজিষ্ট্রি অফিস কক্ষের ভিতরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কা ধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে ওই ঘটনার জের ধরে অফিস থেকে বেড়িয়ে তারা দলিল লেখক তৌহিদুল ইসলামের সহযোগী দলিল লেখক শাকিলের উপজেলা পরিষদ গেট সংলগ্ন দোকানে এসে হামলা করে শাকিলকে মারপিট করে রক্তাক্ত করে। এসময় তার চাচা ওই অফিসের নকল নবিশ আব্দুল মান্নান এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করে রক্তাক্ত করে চলে যায় তারা। এ ঘটনায় তাদের সাথে আসা নুরুন্নবী নিতু গুরুতর আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
দলিল লেখক আবু হাসান বলেন, গত মঙ্গলবার দলিল লেখক শাকিল রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি দলিল রেজিষ্ট্রি করার চেষ্টা করছিল। আমরা বিয়টি জানতে পেরে সাব-রেজিষ্ট্রারের কাছে অভিযোগ দেই। ওই ঘটনায় শাকিল এবং তার চাচা আমাদের গালিগালাজ করে। আজ বুধবার শাকিলের সহযোগী তৌহিদুল দলিল সম্পাদন করতে আসলে তারা আমাদের উপর হামলা করে।
আরেক দলিল লেখক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমি দুইটি দলিল লিখে নিয়ে রেজিষ্ট্রি করার জন্য অফিসে গেলে দলিল লেখক জিয়াউর রহমান জিয়া এবং আবু হাসান আমাকে বাধা দেন। কারণ জানতে চাইলে তারা বলে সমিতিতে চাঁদা না দিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি হবে না। আমি জোর করে ভিতরে গেলে তারা আমার উপর হামলা করে। পরে তারা আমার সেরেস্তা এবং আমার সহকর্মী শাকিলের দোকানে হামলা করে তাকে এবং তার চাচাকে মেরে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
এ বিষয়ে সাব-রেজিষ্ট্রার সামিউল হাসান বলেন, এটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। মুলত দলিল লেখকদের মধ্যে গ্রুপিংয়ের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশকে বিয়টি জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আক্কেলপুর থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এখনো কেউ থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।