রাজশাহীর জনগণ সংরক্ষিত মহিলা আসনের এম,পি হিসেবে মর্জিনা পারভিনকে দেখতে চাই
__________রাজশাহী ব্যুরো
সুখী সমৃদ্ধ স্মার্ট স্বছন্দময়ী সদা হাস্যউজ্জল একটি মানুষ । যার নাম মর্জিনা পারভিন । উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নারী নেত্রী রাজশাহীবাসীর প্রাণপ্রিয় নেত্রী রাজপথের সাহসী যোদ্ধা তৃণমূল থেকে তিলে তিলে গড়ে উঠা আদর্শের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত মর্জিনা পারভিন । পারিবারিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত । ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ও ২০০৫ থেকে অদ্যাবধি ২০২৪ সাল পর্যন্ত সভাপতি পদে আসীন রয়েছেন । তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে এমনকি অনেক জায়গায় তাকে হাসতে হয় । এই হাসির আড়ালে যে কতো কান্না লুকিয়ে আছে কেউকি তা খোঁজে ? চরম অসুস্হতাকে হার মানিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে দলকে সংঘবদ্ধ করার জন্য সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসে প্রোগ্রাম করেছেন,মিছিল-মিটিং আরও কত কী! এসব করতে যেয়েও কতবার অসুস্হ হয়েছেন।এখানে প্রোগ্রাম,ওখানে প্রোগ্রাম। দিন নাই রাত নাই একইভাবে দলের জন্য কাজ করে গেছেন । মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা মনে করে , তার পরিশ্রম বৃথা যাবে না , অবশ্যই আকাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হবে । তারুণ্য , পেরিয়ে যৌবনে শুধুই মিছিল আর পিকেটিং এর মধ্যে জীবন কাটিয়ে আজ বার্ধক্যে । অসুস্থ না হলে কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম কখনো অনুপস্থিত থাকেনি ।
২০০৮ এর নির্বাচনে রাজশাহী থেকে সংরক্ষিত আসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে এম,পি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয় নি । সে সময় দ্বিতীয় বারের মত মরহুমা জিন্নাতুন নেশা তালুকদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয় ।
মর্জিনা পারভীনের মত ত্যাগী ও আদর্শবান নেত্রী আজকের সময়ে এদেশে খুঁজে পাওয়া বড় কঠিন । যিনি ২৪ ঘন্টায় জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন রাজনীতির কথা ভেবে তিনি সাংসারিক জীবনে যাননি , তিনি কোন চাকরি করেন নি । কখনও নিজের কথা ভাবেননি । কারো মতো লোভ লালসা ও নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য নয় , একনিষ্ঠ রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে মর্জিনা পারভীন রাজশাহীর সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হিসেবে যোগ্য প্রার্থী বলে অনেকে মনে করেন । ভালোবাসা টানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে একনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য,নিজের জীবনের সুখকে ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে এবং জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একনিষ্ঠভাবে দলের জন্য কাজ করে চলেছেন
রাজশাহী মহিলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল থেকে নেত্রী পর্যায়ের সকলের একই চিন্তাভাবনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পর রাজশাহী থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হিসেবে রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন যোগ্য বাক্তিনি , তার বিকল্প নাই বলে অনেকে মনে করেন । তিনি ২০০৫ সাল থেকে এ যাবৎ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।এ ছাড়া তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছাড়াও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন ।
মর্জিনা পারভীনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেলো, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে রাজশাহীর সংরক্ষিত নারী আসনে এম,পি হওয়ার সুযোগ করে দিলে তিনি সংসদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। এবং রাজশাহীবাসীর বিবিধ সমস্যা তুলে ধরতে পারবেন । মহিলা আওয়ামী লীগের অনেকেই সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে চলেছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের টিকিট নিয়ে অনেকেই এমপি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। যারা সরাসরি ভোটে এমপি হতে পারেননি, এমন অনেককে সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি করার নজির রয়েছে। অনেকে মন্ত্রীও হয়েছেন। তাই তিনি মনে করেন , দলের নিকট সংরক্ষিত আসনের এম,পি, হিসেবে মনোনয়ন চাইবেন । দলীয় প্রধান অর্থাৎ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যদি তাকে যোগ্য মনে করেন ,তাহলে তাকে মনোনয়ন দেবে বলে তিনি আশা রাখেন । তিনি রাজশাহীর সর্বস্তরের মহিলা ও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চান । বাংলাদেশের পাশাপাশি রাজশাহী যেন এগিয়ে যেতে পারে তিনি সে লক্ষে কাজ করে যাবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রক্ষা করে রাজনীতির পথ পাড়ি দিবেন ।
মর্জিনা পারভীনের রাজনীতি শুরু হয় ১৯৮৬ সাল থেকে । তিনি ছাত্রী অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার ইউসুফ আলী কলেজ শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । মজির্না পারভীনের পিতা মৃত আবুল কাশেম ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। মাতা মৃত সালেহা বেগম গৃহিনী। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাবাকে পাক হানাদার বাহিনী ক্যাম্পে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করেন এবং হত্যার উদ্দেশ্যে তার পিতাসহ অন্যদের লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করলেও তিনি সৌভাগ্য ক্রমে বেঁচে যান । পরে সেখান থেকে পালিয়ে এসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মর্জিনা পারভীনের পিতাকে হত্যা করতে না পেরে তার নানা ও নানার ভাইকে ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তার বড় ভাই মৃত কায়েস উদ্দিন ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। মর্জিনা পারভীনের আরেকভাই এ্যাড. আফসার আলী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। বড় বোন মাতুয়ারা বেগম গোমস্তাপুর উপজেলার মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সেজো ভাই আব্দুল লতিফ রাজশাহী মহানগর কৃষকলীগের সহ-সভাপতি। ছোট ভাই মনিমুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তার অন্যান্য আত্নীয় স্বজন সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।।পরবর্তীতে রাজশাহী শহরে এসে বোয়ালিয়া থানাধীন রাজারহাটা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন । রাজশাহী মহিলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার পর তিনি ২০০৫ সাল থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন
দেশে ২০০৭-২০০৮ সালে জরুরী অবস্থা জারীর সময় তিনি রাজশাহী মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে থাকাই দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবীতে রাজপথে।