নরসিংদী- ৪ মনোহরদী বেলাব থেকে পঞ্চম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন শিল্পমন্ত্রী।
খন্দকার সেলিম রেজা
১৯২৩ সালে শুরু হয়েছিল শুক্কুর মাহমুদের উদ্যোগে। এর পর থেকে পরবর্তী প্রজন্ম নরসিংদীর মনোহরদী ও বেলাব উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।সেই ধারায় এই এলাকায় উন্নয়নে ১০০ বছর পূর্ণ করে ফেলল মজিদ পরিবার।আর তার প্রতিদান দিল নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব)উপজেলা আসনের ভোটারসহ সাধারণ মানুষ।তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে বিজয়ী করল মজিদ পরিবারের সন্তান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে।এই পরিবারের উদ্যোগে দুই উপজেলায় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, কারিগরি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ নানা উন্নয়নকাজ হয়েছে।তাই ভেটাররা আস্থা রেখেছেন মজিদ পরিবারের ওপরই। শিল্পমন্ত্রী এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭৭ হাজার ৯৮২ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।
এরই মধ্যে শিল্পমন্ত্রী পলাশ উপজেলায় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সারকারখানা স্থাপন করেন। এ ছাড়া তিনি গত ১৫ বছরে মনোহরদী ও বেলাব উপজেলায় কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন।এর আগে হুমায়ূন আওয়ামী লীগ থেকে ১৯৮৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাঁকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।তিনি সরকারের সফল শিল্পমন্ত্রী ছিলেন।নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের দাদা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা শুক্কুর মাহমুদ ১৯২৩ সালে অবিভক্ত বাংলার ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন কালের কণ্ঠকে বলেন,এ বিজয় মনোহরদী-বেলাববাসীর সম্মিলিত বিজয়।আমি শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে সব সময়ই উন্নয়ন ও ঐক্যের রাজনীতি করে আসছি।তাই এই জনপদের মানুষ আমার প্রতি তাদের আস্থা রেখেছে।
মনোহরদী ও বেলাব উপজেলা আমার পরিবার। ১৯২৩ সালে আমার দাদা শুক্কুর মাহমুদ এই পরিবারের জন্য কাজ শুরু করেন। এর ধারাবাহিকতায় আমরা শতবর্ষ পূর্ণ করতে পেরেছি।’
সংসদ সদস্য হুমায়ূন বলেন, ‘আমার বাবা অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বৃহত্তর ঢাকা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি ছিলেন। আমার দাদা অবিভক্ত বাংলার ইউনিয়ন বোর্ডের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন,আমি ষাটের দশকে আইয়ুব-মোনায়েম বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের তৎকালীন পাওয়ার বেইস রুচিরা গ্রুপের অন্যতম সদস্য এবং পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে সব আন্দোলনে ছাত্রনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।সেই থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে আজও প্রতিটি লড়াই- সংগ্রামে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে দেশ,মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও করে যেতে চাই।বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের পাশাপাশি এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে শিল্পমন্ত্রীর বাবা এম এ মজিদ ১৯৬২ সালে গোতাশিয়া শুক্কুর মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।