নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকেই বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছে: বাদশা
_______রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী-২ আসনে শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, শহরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকেই বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেছে। অনেকে ভোটারদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাও চালিয়েছে। এবং এটি কোথায় থেকে পরিচালিত হয়েছে সেটিও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। যার কারণে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রকে প্রশাসন গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল আটটায় মহানগরীর জুলফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ পরবর্তী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের সঙ্গে অচেনা অন্য কোনো প্রতীকের তুলনা করা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। মানুষের যে জোয়ার দেখছি; আমার বিশ্বাস- রাজশাহীবাসী নৌকার বাইরে অন্য কোন প্রতীকে ভোট দেবে না। আমাদের জয় সুনিশ্চিত।
নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে ক্ষেত্রে যে সমস্ত ব্যক্তি গরিব মানুষের উপরে নিপীড়ন করেছে, ভোট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে টিসিবির কার্ড কেড়ে নেয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে; এর জন্য যে সিটি করপোরেশন অপরাধী, তার প্রমাণ পাওয়া যায় প্যানেল মেয়র গ্রেফতারের মাধ্যমে। এটি আমাদের কোনো অভিযোগ নয়; প্রশাসনই খুঁজে বের করেছে কারা এগুলো করছে। রাজশাহীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন করা অত্যন্ত কঠিন। সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজ সেবা দেয়া। তারা সেটি রেখে যখন রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে তখন বলার কিছু থাকে না। আমি এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, রাজশাহীর ৬টি আসনে এবার ভোটযুদ্ধে আছেন ৪২ জন প্রার্থী। মোট ভোটকেন্দ্র ৭৭০ টি। এরমধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ৯৬টি। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ৪০৫টি। আর সাধারণ কেন্দ্র আছে ২৬৯টি। রাজশাহী জেলার ৬টি আসনে ভোটার আছে ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৭১৪ জন। এর মধ্যে মোট পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩০ জন। আর নারী ভোটার রয়েছেন ১০ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৬ জন।
রাজশাহী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকাল ৮টা থেকে একযোগে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটগ্রহণ সকাল আটটায় শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কেউ নির্বাচনে বাঁধার সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।