মাঠে নামলো সেনাবাহিনী, পালন করবে যেসব দায়িত্ব।
মোঃআমিনুল ইসলাম ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। নির্বাচনে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে আজ থেকে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মহানগরী এলাকার মোড়ে এবং অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন। নির্বাচনের চারদিন আগে থেকে দেশের ৬২ জেলায় আজ সকাল থেকে নির্বাচনের মাঠে সশস্ত্র বাহিনী।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট আটদিন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী।
মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা বা মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে নিয়োজিত থাকবেন। ভোটগ্রহণের দিন, এর আগে ও পরে কার্যক্রম গ্রহণ ও মোতায়েনের সময়কালসহ বিস্তারিত পরিকল্পনা অবহিত করতে হবে।
এছাড়া, বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অনুরোধক্রমে চাহিদামতো আইনানুগ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করবে সশস্ত্র বাহিনী। রিটার্নিং বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনা কক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।
উপকূলবর্তী এলাকায় নৌবাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বা মহাসড়কগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয়সংখ্যক হেলিকপ্টার দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বাহিনীগুলোর অনুরোধে কাজ করবে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মহানগর এলাকা, এলাকার বাইরে এবং পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ভোটকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
উল্লেখ্য, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে। এটি আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।