1. sheikhrobirobi008@gmail.com : dailynayakontho :
  2. admin@dailynayakontho.com : unikbd :
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রাজাধিরাজ – এম, আলমগীর হোসেন অদৃশ্য মানব – আব্দুস সাত্তার সমান  ভোলায় পরিবর্তন যুব উন্নয়ন সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ সভা অনুষ্ঠিত। দৈনিক নয়া কণ্ঠ চারঘাট থানা পুলিশের অভিযানে ৮১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার। দৈনিক নয়া কণ্ঠ                                ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর মৃত্যুতে রাসিক প্রশাসকের শোক। দৈনিক নয়া কণ্ঠ                                 মহানবী – মহসিন আলম মুহিন বালাগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটিকে আতাউর রহমানের অভিনন্দন। দৈনিক নয়া কণ্ঠ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। দৈনিক নয়া কণ্ঠ                            তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত। দৈনিক নয়া কণ্ঠ                                     তানোরের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির চাল আত্মসাৎ। দৈনিক নয়া কণ্ঠ

কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশাকে রাজশাহী মহানগর আ.লীগের পূর্ণ সমর্থন

  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৯৯ বার পঠিত

কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশাকে রাজশাহী মহানগর আ.লীগের পূর্ণ সমর্থন

রাজশাহী ব্যুরো ঃ রাজশাহী-২ (সদর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা এমপিকে বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শফিকুর রহমান বাদশা কে কাচি মার্কায় জেতানোর অঙ্গীকার করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। গত ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশার হাত উঁচিয়ে এ অঙ্গীকার করেন তাঁরা। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
সদরের এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ২০০৮ সাল থেকে তিনি জোট থেকে মনোনয়ন নিয়ে টানা তিনবার সংসদ সদস্য হয়েছেন। এবারও তিনি নৌকার টিকিট পেয়েছেন। একই আসনে কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। তাই গত ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) স্বতন্ত্র প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দেওয়ার জন্য মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশা ছাড়াও মহানগরীর ওয়ার্ড-মহল্লা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে তাঁরা নৌকার পক্ষে, কেউ নৌকার বিপক্ষে নন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় নৌকার জন্য কাজ করছেন। রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকার জন্য কাজ করছেন। কিন্তু ফজলে হোসেন বাদশা যদি নৌকা প্রতীক পেয়ে তাঁদের নেতা খায়রুজ্জামান লিটনকেই না ডাকেন, তাহলে কি তাঁদের ঠেকা পড়েছে যে তাঁর বাসায় গিয়ে তাঁর জন্য কাজ করতে হবে? তখন নিচ থেকে নেতা-কর্মীরা ‘না’ বলে চিৎকার দেন।’তিনি বলেন, ‘আমাকে যেখানেই ডাকা হয়, সেখানেই যাই। কিন্তু নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা আমাকে নির্বাচন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাননি। এখন আমরা যদি আপনাদের মতামত নিয়ে দলের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশাকে সমর্থন দিই, তাহলে কোনো অপরাধ হবে না। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে না। এ জন্য যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জবাব দিতে হয়, তাহলে সেই জবাব আমি দেব, সেই জবাব দেবেন খায়রুজ্জামান লিটন।’
মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ২০০৮ সাল থেকে নৌকার উপর ভর করে ফজলে হোসেন বাদশা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তিনি এ যাবৎ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অফিসে কোনদিন নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন নাই ।‘আমরা যখন মাঠে নেমে গেছি, তখন আমাদের দলের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশাকে বিজয়ী করে আনতে হবে। আমরা নৌকার বিপক্ষে নই। আমরা ফজলে হোসেন বাদশার বিপক্ষে। তাকে আমরা দেখিয়ে দিবো যে, রাজশাহীতে তাঁর কোনো জনসমর্থন নাই।’
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরও বলেন, ‘আজ আপনাদের সঙ্গে কথা বলে মতামত নিলাম। আমরা নৌকার বিপক্ষে নই, ফজলে হোসেন বাদশার বিপক্ষে, ওয়ার্কার্স পার্টির বিপক্ষে। তারা দেখাক তাদের কত ভোট আছে। আমাদের প্রার্থীকে জয়ী করে নিয়ে আসার দায়িত্ব রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘এই ফজলে হোসেন বাদশা নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রিয় নেতা খায়রুজ্জামান লিটনকে কটূক্তি করেছিল। তিনি এখনো রাজশাহীতে আছেন—এটা তাঁর ভাগ্য।’ তিনি ফজলে হোসেন বাদশাকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌমিক সাহা বলেন, ‘১৫ বছর দরে ফজলে হোসেন বাদশাকে নৌকা প্রতীক দেওয়াতে নৌকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার , মহানগর সদস্য আব্দুস সালাম, আতিকুর রহমান কালু,রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, মতিহার থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, প্রমুখ।
এ বিষয়ে স্থানীয় সিপাইপারা নিবাসী মোঃ রবিউল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন , ২০০৮ সালের পর থেকে ফজলে হোসেন বাদশা সংসদ সদস্য হিসেবে ক্ষমতায় থাকলেও তাকে একটি বারের জন্য হলেও আমরা দেখতে পায়নি । কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী মোঃ শফিকুর রহমান বাদশা ভদ্র, নম্র ও বিনয়ী
একজন মানুষ । শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থকরা শুধু নয় ,দলমত নির্বিশেষে রাজশাহীর জনসাধারণ সকলেই তাকে ভোট দিবে বলে তিনি মনে করেন ।
রণিবাজার মহল্লার মোঃ মশিউর রহমান রিন্টু বলেন, সফিকুর রহমান বাদশাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মহানগর শাখার সকল সদস্য যেহেতু সমর্থন জানিয়েছে ,সেহেতু তাকে ভোট দিলে আগামী ৫ বছর তিনি মাননীয় মেয়রের সাথে সমন্বয় করে রাজশাহীর অসম্পন্ন উন্নয়ন সম্পন্ন করতে পারবে ।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
  1. ২০২৩ © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed By UNIK BD