রংপুরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মোটর সাইকেল চুরি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে রফাদফা
রংপুর ব্যুরো: অনলাইন প্রজেক্টে(আউটসোর্সিং)এর কাজ দেয়ার কথা বলে বাড়িতে এনে মোটর সাইকেল চুরি।থানায় লিখিত অভিযোগ। চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে চোর সিন্ডিকেটের বিচার। মুলহোতার ৬০ষাট হাজার ও অপর সদস্যদের ৫হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকায় অবৈধ রফাদফা।
সুত্র ও অভিযোগে জানাগেছে, গত ৯ ডিস্বের সন্ধা অনুমান সাড়ে ৬টার দিকে আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাইয়ে দিতে রংপুর জেলার সদর উপজেলার পাগলাপীর পূর্ব কিশামত হরকলি গ্ৰামের দেলোয়ার হোসেন রনি আরফাতকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এসময় আরাফাত তার নিজ ব্যবহৃত মোটর সাইকেল যোগে পৌছে রনি’র বাড়ির উঠানে।রনি আরাফাতকে তার কম্পিউটারে কাজ বুঝাইয়া দিয়ে বের হয়ে যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পর রনির সহযোগি দিদার আরাফাতকে জানায় উঠানে রাখা তার মোটরসাইকেলটি নাই।এঘটনায় আরাফাত ইসলাম বাদি হয়ে রনিসহ ৩/৪জনকে অভিযুক্ত করে সদর কোতোয়ালি থানায় এজাহার দায়ের করে। থানা পুলিশ আরাফাতের এজাহার দায়েরের ৯দিন পার হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয় নাই বলে তার অভিযোগ। পরে গত ১৭ডিস্ম্বের রবিবার রাতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন অভিযুক্ত রনির বাড়িতে বসে শালিশ করেন। এতে রনি চুরির কথা স্বীকার করলে রনিকে ৬০ষাট হাজার ও তার সাথে থাকা অন্য ৪জন ২০হাজার টাকা জরিমানা করে রফাদফা করেছেন । আরাফাত দিনাজপুর জেলার চিরির বন্দর উপজেলার হজরতপুর মন্ডলপাড়া গ্ৰামের এনামুল হকের পুত্র। আর রংপুর জেলার সদর উপজেলার পাগলাপীর এলাকার পূর্ব কিশামত হরকলি গ্ৰামের হায়দার আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন রনি । শ্রুতি আছে যে, রনিসহ অপর কয়েকজনের বিরুদ্ধে চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগি আরাফাত জানান, আমি থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিরা মিলে চাপ সৃষ্টি করলে থানা থেকে এজাহার প্রত্যাহার করায়। পরে চেয়ারম্যান তার অন্য লোকজনসহ বসে ৮৫হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে মিমাংসাপত্র প্রস্তুত করেন। কিন্তু এখনও সে টাকা দেননি। আরাফাত আরও জানায়, এ বিচারে আমি সন্তোষ অসন্তোষের কিছুই নাই। কারন, ওরা একপাল্রাভুক্ত।
এ ব্যাপারে সদর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশীদ বলেন, মোটর সাইকেলের বিষয়টা তো মিমাংসা হয়ে যাওয়ার কথা। তবুও বলছি যদি সে মিমাংসায় অসন্তোষ থাকেন। তো আমার কাছে আসলে দেখবো।
রংপুর সদর উপজেলার ২ নং হরিদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মিমাংসার কথা অস্বীকার করে বলেন, এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। যারা আপনাকে তথ্য দিয়েছে।তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।
এসআই খাইরুল এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মিমাংসা বৈঠকে ছিলাম। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গন্যমান্যরা মিলে মিমাংসা করে দিয়েছেন।এতে না হলে মামলা হবে।