সেলফি পরিবহনের বাসের চাপায় আরো একটি শিশুর প্রান গেলো।
স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ রাজিবুল ইসলাম।
সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেপরোয়া সেলফী পরিবহনের বাস চাপায় পিষ্ট হয়ে তাওহীদ (১০) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে সাভার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবুল হাসান।
উল্যেখ্য, কয়েকদিন আগে ধামরাই এলাকায় হাইওয়ে রাস্তায় বাস ধাক্কা দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের প্রান কেড়ে নিয়েছে।
সেলফি পরিবহনের বাসগুলোর ইঞ্জিন অনেক শক্তিশালি। অধিকাংশ চালক বেপরোয়া ভাবে অসচেতন অবস্থায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালায়। একটি গাড়ি অন্য একটি গাড়ির সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে এমন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
গাবতলি সাভার পাটুরিয়া হাইওয়ে রাস্তায় সেলফি গাড়ি চালু করার পর থেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে সাধারন জনগন।
কয়েকটি দুর্ঘটনায় দেখা গিয়েছে নিহত কিংবা আহত হলে টাকার বিনিময়ে সমঝোতা হচ্ছে।
এভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা হবে, শিশু সহ বৃদ্ধের প্রান যাবে! মায়ের বুক খালি হবে, আত্মীয় স্বজন তাদের প্রিয়জন হারাবে।
এভাবে কি সব সময় টাকার বিনিময়ে সমঝোতা হলেই সমাধান হবে! নাকি গাড়ি নিয়ন্ত্রন রোধ করতে হবে? এমনটাই প্রশ্ন সাধারন জনগনের।
প্রায় সময় নিহত ও আহত হচ্ছে একাধিক মানুষ।
তাদের বাস স্টপেজ অনিয়ম থাকার কারনে যাত্রীরা হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।
যাত্রী উঠা নামা করার সময় দেখা যায় রাস্তার বাম পাশে গাড়ি না থামিয়ে রাস্তার মাঝে কিংবা ডানের লেনে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা নামা করে।
যাত্রীদের মতামত জানতে চাইলে যাত্রীরা বলেন, যাত্রী উঠা নামা করার সময় নির্দিষ্ট স্টান্ড এবং বামের লেন ব্যাবহার করলে যাত্রীদের সুবিধা হয়।
গাড়ি দ্রুত গতি রোধ করতে হবে। অন্য গাড়ির সাথে পাল্লা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রত্যেক চালক সচেতনতা অবলম্বন করলে এবং অভিজ্ঞ চালক দারা বাস চালালে দুর্ঘটনা কমে যাবে বলে মনে করছেন সাধারন জনগন।