ভাড়াটিয়া গৃহবধূকে শ্লীলতাহানী ও মারধরের অভিযোগ কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
রাজশাহী ব্যুরো ঃ রাজশাহী মহানগরীতে বাড়ির ভাড়াটিয়া গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তানোর মুন্ডুমালা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মো. হাবিবের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চন্দ্রিমা থানাধীন শিরোইল কলোনি এলাকার ৫ নম্বর গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী জানান, আমরা এক বছর থেকে প্রভাষক হাবিবের বাসায় ভাড়া থাকি। আমার ছোট বোন এখানে থেকে লেখাপড়া করে।
এর আগে ছোট বোনটাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন বাড়ির মালিক হাবিব। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে হাবিবের স্ত্রী আমার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ান। এর জের ধরে আমাদের বাড়ি খালি করতে বলেন হাবিব। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসা থেকে মালামাল পাশের ফ্ল্যাটে নিচ্ছিলাম এসময় নিচে ভ্যান চালক বলেন, ভাবি গেট লক আছে। নিচে গেট খোলার জন্য আসতেই দেখি বাড়ির মালিক হাবিব ও তার ছেলে সৈকত গেটের সামনে দাড়িয়ে আছেন। গেট খুলে ভ্যান চালককে ভেতরে নিলে বাধে বিপত্তি। এসময় হাবিব বলেন, কেও ভেতরে যাবেনা। কেন যাবেনা এমন প্রশ্ন করা মাত্রই প্রভাষক হাবিব আমার সাথে মারমুখি আচরণ করেন এবং তুইতোকারি ভাষায় কথা বলেন। তার এমন আচরণে আমি হতবাক হয়ে আমার স্বামীকে ফোন দেয়। পরবর্তীতে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হাত ধরে গেটের ভেতরে নেয় এবং গেট বন্ধ করে আমার গালে চপেটাঘাত করে। এব্যাপারে অভিযুক্ত হাবিবের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিব বলেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। পরক্ষণে বলেন পরস্পরের মধ্যে মীমাংসা হয়ে গেছে। কখনো বলেন সন্ধ্যার পর আমাকে থানায় ডেকেছে।
প্রতিবেশী আয়উব আলী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রভাষক হাবিবকে তার ভাড়াটিয়ার হাত ধরে গেটের ভেতর নিতে দেখেছি কিন্তু ভেতরে কি হয়েছে সেটা দেখিনি। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে চন্দ্রিমা থানার এসআই মাজেদ বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।