শেরপুরের শ্রীবরদীতে সমলয়ের শস্য কর্তন, এতে লাভবান কৃষক।
মোঃআমিনুল ইসলাম শেরপুর প্রতিনিধি
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদ করা হয় শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায়। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়িত সমলয় চাষাবাদ ব্লক প্রদর্শনী শ্রীবরদীতেই এই প্রথমবার করা হয়। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে লক্ষে কৃষকদের বীজ বপন, চারা রোপন, সার প্রয়োগ, শস্য কর্তক মাড়াই সহ প্রতি স্তরেই ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি। যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা, চলতি রোপা আমন মৌসুমে (খরিপ ২) প্রণোদনা কর্মসূচি আওতায় উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের ৬০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রী- ধান- ৮৭ আবাদ করা হয়। কৃষকদের যন্ত্রের সাহায্যে সমবায়ভিত্তিক বপন, রোপন ও কর্তন করে দেওয়া হয়। তাই নাম দেওয়া হয়েছে সমলয় চাষাবাদ। প্রকল্পের আওতায় ৫০ একর জমির বীজ বপন, চারা রোপন সার এবং কর্তনের জন্য সকল যান্ত্রিক সহযোগিতা করেছেন কৃষিবিভাগ।
কৃষক নূর ইসলাম বলেন,এই প্রথম বার আমরা এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ দেখলাম।
এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে একদিকে যেমন খরচ কম অন্যদিকে আমরা অধিক লাভবান হবো। কৃষক এরশাদ আলী বলেন, ধান কাটার সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। এই পদ্ধতিতে খরচও কম লাভও বেশি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবরিন আফরিন বলেন,আধুনিক কৃষির অন্যতম লক্ষ হচ্ছে কৃষি যন্ত্রিকরণ। এতে কৃষকের অর্থ ও সময় দুটিই সাশ্রয়ী হচ্ছে। সমলয় প্রণোদনার মাধ্যমে বিনামূল্যে উপজেলায় ৫০ একর জমির জন্য বীজ, সার, ধান রোপন থেকে শরু করে কর্তন করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সন্তুষ্ট এছাড়াও সংশ্লিষ্ট কৃষকদের সরিষা বীজের প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে