রাজবাড়ীর মাঠে-ঘাটে কৃষকের স্বপ্ন
মোঃ মজিবুর জুয়েল , গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী।
রাজবাড়ী জেলার মাঠে-ঘাটে, আনাচে-কানাচে কৃষকের স্বপ্ন। কেউ স্বপ্ন রোপন করার জন্য জমি তৈরি করছেন, কেউ স্বপ্ন রোপন করছেন,আবার কারো স্বপ্ন দিন দিন বড় হচ্ছে। কেউ আবার ঘরে তুলছেন স্বপ্ন। কৃষকের স্বপ্ন জেলার মাঠে-ঘাটে, আনাচে-কানাচে সবুজে ঘিরা রয়েছে।
ভারি বৃষ্টির প্রভাব কাঁটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন রাজবাড়ী জেলার সাধারণ কৃষক। জেলার পাঁচটি উপজেলার ৮০শতাংশ মানুষের বেশির ভাগ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। পদ্মা-গড়াই নদীর পারে রাজবাড়ী কৃষি প্রধান জেলা। বর্ষার পানি পাওয়ায় প্রতিটি ফসল তুলনামূলক অনেক ভালো হয়। তিন ফসলি এই জমিতে বর্তমান কৃষক বিভিন্ন প্রকার সবজি আবাদ করছেন। এর মধ্যে করোলা, উস্তা, বেগুন, কফি, পাতা কফি, লাউ, সিম, আলু, বটবটি, মিষ্টি কুমড়া, সশা, কাঁচা মরিচ, মুড়ি কাঁটা পিঁয়াজ, পেঁয়াজের বীজ, রসুন সহ বিভিন্ন প্রকার সবজি বাণিজ্যিক ভাবে আবাদ করছেন কৃষক। ইতিমধ্যে অনেক কৃষক সবজি বাজারে তুলতে শুরু করেছেন। এই সাথে আবার অনেক কৃষক বোরো ধান ঘরে উঠাতে শুরু করেছেন। ধান ঘরে তুলে সেই জমিতেও অনেকে আবাদ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সরেজমিন দেখা যায়, পদ্মা নদীর পাশে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করছেন কৃষক। কেউ বাজারে নিচ্ছেন বিভিন্ন প্রকার সবজি। এদিকে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রতিটি ফসল ভালো হয়েছে। বাজারেও উচ্চ মূল্যে পাচ্ছেন কৃষক। প্রতিটি ফসলের মূল্যে বেশি পাওয়ায় কৃষক-কৃষানীর মুখে হাসি ফুঁটেছে।
এসএম মান্নান, ১৪ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়। এক সপ্তাহ পর কাঁটা শুরু করবো। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি আরোও জানান, ধান ঘরে তোলার পর এই জমিতে গম রোপন করা হবে।
হুমায়ন নামের এক কৃষক বলেন, ধান কাঁটা শেষ হয়েছে। এখন জমিতে পিঁয়াজ-রসুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করা হয়েছে। বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছি। তিনি বলেন, স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সু-পরামর্শ পেলে হয়তো আমরা কৃষি কাজে আরোও উন্নয়ন করতে পারবো।
আব্দুল মালেক নামের এক কৃষক বলেন, পদ্মা নদীর পারে প্রতিটি ফসল ভালো হয়। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন গতবারের চেয়ে ভালো হয়েছে। বাজারে ফসলের দামও ভালো। এবার ১২ বিঘা জমিতে পিঁয়াজ লাগানো হয়েছে। ২০/২৫ দিন পর বাজারে বিক্রি করতে পারবো। তিনি বলেন, কৃষকের এখন স্বপ্ন রোপন করার সময়। অনেকে নানা প্রকার সবজি বাজারে উঠাতে শুরু করেছে।
রাজবাড়ী জেলা কৃষি উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাজবাড়ী জেলা কৃষি প্রধান জেলা। এই জেলায় ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এই মৌসুমে অনেকে ধান কাঁটতে শুরু করেছে। অনেকে বিভিন্ন প্রকার সবজি আবাদ করছে। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কৃষকের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বাজারে ভালো মূল্যে পাওয়ায় কৃষক অনেক খুশি হয়েছে।