মোস্তাফিজুর রহমান রাজশাহী ব্যুরো
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ – পরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম ০৭ ই নভেম্বর মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে পাবনা জেলার চাটমোহর থানাধীন জাবরকোল নতুনপাড়া গ্রামস্থ মোঃ গোলাম মাওযা এর বসতবাড়ির পূর্ব পার্শে মান্নান নগর হতে চাটমোহরগামী পাকা রাস্তার পূর্ব পার্শে চাটমোহরগামী একটি রেজিঃ বিহীন yamaha FZS v e 3 মোটরসাইকেলকে রাত ২.১৫ মিনিটে গতিরোধ করে থামিয়ে ঘেরাও করে । উপস্থিত সাক্ষী মোঃ গোলাম মাওলা ও মোঃ আব্দুল বাতেনের উপস্থিতিতে বিধিমোতাবেক উক্ত মোটরসাইকেলে আরোহণকারি ১ ন. আসামি মোঃ আব্দুল খালেক (২০) পিতা মোঃ বিল্লাল হোসেন , মাতা মোসা: খুশি খাতুন , সাকিম : দেবোত্তর খিদিরপুর ,থানা : আটঘরিয়া ,জেলা :পাবনা ( গাড়িচালক ) । আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু ২ ন, আসামি মোঃ নাহিদ হাসান তামজীদ (১৬) পিতা : মোঃ মিন্টু , মাতা : মোসা : রেনু খাতুন , সাকিম ; দেবোত্তর খিদিরপুর ,থানা : আটঘরিয়া, জেলা: পাবনা কে তল্লাশি করে উভয়ের কাধে রক্ষিত ঝুলানো দুটি ব্যাগের মধ্যে বালিশ এর কভারের ভিতর প্রতিটিতে পলিথিন স্কচ টেপ দ্বারা মোড়ানো দুটি পোটলায় অবৈধ মাদকদ্রব্য গাজা ৫( পাঁচ ) কেজি করে মোট ১০( দশ ) কেজি উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। রাত্রি ২.৩০ মিনিটের সময় উভয়ের ব্যবহূত মোটরসাইকেল চাবিসহ দুটি মোবাইল ফোন দুটি সিমসহ জব্দ সহ এক নম্বর আসামি ও দুই নম্বর আসামি সংঘাতে জড়িত হওয়ায় তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে । ঘটনাস্থলে উদ্ধারকৃত আলামতের জব্দ তালিকা তৈরি করে স্বাক্ষিদের স্বাক্ষর গ্রহণ করে প্রতি পোটলার ১০ গ্রাম করে মত ২০ গ্রাম গাজা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য নিজ জিম্মায় রাখেন । অবশিষ্ঠ গাজা ও আলামত সিলগালা করে বিভাগীয় হেফাজতে নেন । ঘটনাস্থলে উদ্ধারকৃত গাজা পরিমাপ করে আলামত, নমুনা, আসামি সহ রাত ৩.১৫ মিনিটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়, রাজশাহীর তথ্যমতে , বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয় , রাজশাহী এর উপ পরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে বিভাগীয় স্টাফ সমন্বয়ে একটি রেইডিং টিম গঠন করে উক্ত রেইডিং টিমের সহযোগিতায় অবৈধ মাদকদ্রব্য গাজা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও পরিবহন করায় আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ সনের ৩৬(১), ৩৮, ও ৪১ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় আতাইকুলা থানা , পাবনায় মামলা দায়ের করা হয় ।
উপ পরিচালক জিল্লুর রহমান আরো জানান, আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে চক্রের অন্যান্য হোতাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধান পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য এই চক্রের অন্যান্য হোতাদেরও নজরদারিতে রাখা হয়েছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে যে কোন সময় অভিযান পরিচালনা করা হবে । গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে জেল হাজতে প্রেরণে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়,রাজশাহী কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।