কামারখন্দে ইত্তেফাকের সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করলেন এলজিইডির কর্মকর্তা মামুন
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রতিনিধি মো: আলামিন হোসেন
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরে নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের তথ্য চাওয়ায় রাকিবুল ইসলাম রুবেল নামে এক সাংবাদিককে ঘার ধাক্কা দিয়ে লাঞ্ছিত করছে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরে নবনির্মিত পলাশডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
লাঞ্ছিতের স্বীকার রাকিবুল ইসলাম রুবেল দৈনিক ইত্তেফাকের কামারখন্দ সংবাদদাতা ও কামারখন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
সাংবাদিক রুবেল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত উত্তবঙ্গের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বৃহত্তর সংগঠন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কালীবাড়ী ভদ্রঘাট গ্রামে অবস্থিত পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরে নবনির্মিত পলাশডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। এসময় সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না সহ সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে এলজিইডি বাস্তবায়িত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের তথ্য চাওয়া হয় এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে। তথ্য চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ঘার ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলা দেওয়া হয়।
সাংবাদিক রুবেল আরও জানান, আমরা সাংবাদিকরা অনেক সময় এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম দুর্নীতির রিপোর্টের জন্য তথ্য চাওয়া ও রিপোর্ট করায় সেই ক্ষোভ থেকে এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এ ঘটনার বিষয়ে এলজিইডির কামারখন্দ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাংবাদিক রুবেলকে কোন প্রকার লাঞ্ছিত করা হয়নি। তবে যাই হোক আপনারা (সাংবাদিক) আমার অফিসে আসেন এব্যাপারে কথা বলি।
কামারখন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি দুলাল হোসেন মন্ডল বলেন, পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরে নবনির্মিত পলাশডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে রিপোর্টের জন্য এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীর কাছ থেকে তথ্যের জন্য সাধারণ সম্পাদক রুবেলকে রেখে আমরা অন্যান্য সাংবাদিকরা মহাসড়কের পাশে অপেক্ষা করছিলাম। এরই মধ্যে সাংবাদিক রুবেল প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরে নবনির্মিত পলাশডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়ায় তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কামারখন্দ প্রেসক্লাব তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।
সিরাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিকরা তো আমাদের দাওয়াত দেওয়া অতিথি। তারা তো আমাদের এই অনুষ্ঠান প্রচার প্রচারণা করবেন। আমি এ ঘটনায় খুবই লজ্জিত। আমি একটি জরুরি মিটিংয়ে আছি। মিটিং শেষে কামারখন্দে এসে বিষয়টি শুনছি।