রংপুরে বিএনপির ১৭ জন নেতাকর্মী আটক
রংপুর ব্যুরো অফিস:
রংপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে মহানগরের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল পৌনে দশটার দিকে নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। এছাড়াও শনিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী বাবু।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের মিছিল করার জন্য সমবেত হন। এসময় পুলিশ তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বললে কয়েকজন কর্মী তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ করতে দলীয় কার্যালয়ের ফটকের ভিতরে ঢুকে পড়ে প্রথমে ফজলে রাব্বী বাবুকে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশের কাজে বাধা দেয়ায় পরে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডনকে আটক করে পুলিশ।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, রোববার সকালে বিএনপির ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ এবং নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে এবং পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের চেষ্টা করে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বিএনপির রংপুর মহানগরের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ তিনজনকে আটক করা হয়। এরপর দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে কিছু ইটপাটকেল উদ্ধার করে।
এছাড়া শনিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ১৪ বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। তাদের সকলের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ সহিংসতা করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলেও জানায় পুলিশ।
এদিকে শনিবার বিএনপি-জামায়াতসহ গণতন্ত্র মঞ্চ হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করার ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত মিছিল করেনি। তবে রোববার মিছিল করবে বলে দলটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় হরতাল বিরোধী শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
উল্লেখ্য, বিএনপি গতকাল ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের আয়োজন করেছিল। সেই সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড এবং টিয়ার শেল ছুড়ে পণ্ড করে দিয়েছে, এমন অভিযোগ এনে আজ রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যদিকে মহাসমাবেশে পুলিশের বাধাদান ও নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীও হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। একই দিনে গণতন্ত্র মঞ্চসহ সমমনা দলগুলোও হরতাল আহ্বান করেছে।