রাজবাড়ীতে ২৯ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি র্যাবের হাতে গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধিঃ ছাব্বির হোসেন বাপ্পি,
গোপালগঞ্জ সদর থানার চাঞ্চল্যকর চা দোকানদার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মফিজুর রহমান ওরফে মাহফুজকে দীর্ঘ ২৯ বছর পর রাজবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০, ফরিদপুর ক্যাম্প।
গ্রেপ্তারকৃত মফিজুর রহমান ওরফে মাহফুজ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি গ্রামের মৃত মোঃ হাবিবুর রহমান ওরফে হালিম সেখের ছেলে। ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল চাঞ্চল্যকর চা দোকানদার সেকান্দার শেখ হত্যাকান্ড জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।এরই ধারাবাহিকতায় আভিযানিক দল গত শুক্রবার বিকাল ৫টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী সদর থানার সজ্জনকান্দা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে চাঞ্চল্যকর চা দোকানদার সেকান্দার শেখ হত্যা মামলায় আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘ ২৯ বছর যাবৎ পলাতক আসামী মোঃ মফিজুর রহমান ওরফে মাহফুজ (৫৭) কে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার বিকেলে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্প থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপালগঞ্জ সদর থানার তেলিগতি এলাকায় বসবাসকারী মৃত নজির শেখের ছেলে সেকেন্দার শেখ (৩০) এলাকার কাঠি বাজারে চায়ের দোকান দিয়ে তার জিবিকা নির্বাহ করতো। গত ১৯৯৪ সালের ১৪ জানুয়ারী রাত আনুমানিক রাত ৮টার সময় সেকান্দার প্রতিদিনের ন্যায় চা বিক্রি শেষে তার নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পথিমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর থানার কাঠি পশ্চিম পাড়া এলাকার কাঁচা রাস্তার উপর পৌছালে রাত ১০টার সময় রাস্তার পাশে ৭-৮জন লোককে ফাঁকা জমির উপর বসে থাকতে দেখে সেকান্দার তাদের দিকে টর্চ লাইটের আলো ফেলে। টর্চ লাইটের আলোতে সে দেখতে পায় ৭-৮ জন লোক সেখানে বসে গাঁজা সেবন করছে। সেকান্দার তাদেরকে গাঁজা সেবনে মৌখিক ভাবে বাধা দিলে মোঃ মিজান ওরফে শাহিনসহ তার অন্যান্য সহযোগী মিলে সেকান্দারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে সেকান্দারের বুকে, পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে সংবাদ দিলে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ সেকান্দারের মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
এ হত্যাকান্ডের পর মৃত সেকেন্দার শেখের ভাই এনায়েত শেখ বাদি হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (যার মামলা নং-০৮, তারিখ-১৪/০১/১৯৯৪)। মামলা দায়েরের বিষয়টি জানতে পেরে হত্যাকান্ডে জড়িত সবাই আত্মগোপনে চলে যায়। পরে আদালত রায় ঘোষণা করেন।