নিজস্ব প্রতিবেদক রাজবাড়ি ঃ রাজবাড়ী জেলার সদর থানা এলাকায় চাঞ্চল্যকর ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নাবালিকা শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী লিটন’কে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা হতে গ্রেফতার করেছে ফরিদপুর র্যাব-১০।
রবিবার ১৫ই অক্টোবর দুপুরে ফরিদপুর র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার শাইখ আক্তার জানান,গতকাল ১৪ই অক্টোবর বিকালে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে, রাজবাড়ী সদর থানার নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে চাঞ্চল্যকর ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নাবালিকা শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী লিটন উদ্দিন (৩৬), গ্রেপ্তার করে। সে রাজাবাড়ী সদর থানা এলাকার রামকান্তপুর ইউনিয়নের তালুকদার পাড়া গ্রামের মৃত হাফিজউদ্দিন এর ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া বারো বছর বয়সী স্কুল ছাত্রী (ভিকটিম) রাজবাড়ী জেলার সদর থানা এলাকায় তার বাবা মায়ের সাথে একত্রে বসবাস করে আসছিলো। ভিকটিম স্কুলে যাওয়া-আসার সময় আসামি লিটন প্রায়ই ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কু-প্রস্তাব দিতো। ভিকটিম লিটনের কু-প্রস্তাবে কোনো সাড়া না দিয়ে ঘটনাটি তার বাবাকে জানালে ভিকটিমের বাবা আসামি লিটনকে বলে যে, সে যেন তার মেয়েকে অর্থাৎ ভিকটিমকে কখনো উত্যক্ত না করে নতুবা তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন। এতে আসামি লিটন ভিকটিমের বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৪শে সেপ্টেম্বর সকালে ভিকটিমতাদের নিজ বাড়ী হতে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে রাস্তায় পৌছানো মাত্র আসামি লিটন ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই জন আসামির সহযোগীতায় অপহরণ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি লিটন রাজধানী ঢাকায় তার ভাড়া করা অজ্ঞাতনামা একটি বাসায় ভিকটিমকে আটকে রেখে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় গত ২৭শে সেপ্টেম্বর ভিকটিম কৌশলে আসামি লিটনের হাত থেকে পালিয়ে এসে তার বাবা মাকে ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে খুলে বলে। উক্ত ঘটনার পর ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক লিটন ও তার অপর দুই সহযোগীসহ তিন (০৩) জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর থানায় একটি অপহরণ করে ধর্ষণমামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে লিটনসহ অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে গ্রেফতারকৃত আসামীকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।