রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাতে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে অভিনব সাজে প্রতিবাদ জানিয়েছে ।
———-রাজশাহী ব্যুরো
আজ (১১ অক্টোবর) বুধবার বেলা ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ প্রতিবাদ জানান তারা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,একজন শিক্ষার্থী ফিলিস্তিন পতাকা গায়ে জড়িয়ে শিকলে বাঁধা অবস্থায় রয়েছেন। তাকে পিছন থেকে টেনে ধরেছেন তিনজন শিক্ষার্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফিলিস্তিন পতাকা গায়ে শিক্ষার্থীকে ফিলিস্তিন দেশের প্রতিকৃতি হিসাবে সাজানো হয়েছে , অন্যদিকে যারা তাকে টেনে ধরছেন সেখানে ইসরায়েল , ইন্ডিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র এই তিনটি রাষ্ট্রকে বুঝানো হয়েছে।যাদের সমর্থনে ইসরায়েল মুসলমান দেশ ফিলিস্তিনের উপর অমানবিক নির্যাতন করার সাহস পাচ্ছে।
প্রতিবাদী এমন চিত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন বলেন, ফিলিস্তিনদের অত্যাচারের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে এমন প্রতিবাদী চিত্র তুলে ধরেছি আমরা। আমি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সেজেছি আর আমাকে পিছন থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে তিনজন শিক্ষার্থী সেখানে ইসরাইল, ইন্ডিয়া, ও যুক্তরাষ্ট্র এ তিনটি রাষ্ট্র বুঝানো হয়েছে।ইন্ডিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ফলেই এমন অমানবিক নির্যাতন ও হত্যাকান্ডের সাহস পাচ্ছে ইসরায়েল।
সালাউদ্দিন আরও বলেন, দূর থেকে দেখে আমাদের যতটুকু করনীয় ফিলিস্তিন ভাইদের জন্য আমরা করবো। এ জন্যে যদি আমাদের জীবনও দিতে হয় আমরা দিতে প্রস্তুত রয়েছি ইনশাআল্লাহ । ইংরেজদের কাছে পরাজিত হয়ে নবাব সিরাজুদ্দৌলা বলেছিলেন বাঙালিরা যদি একটি করে পাথর মারতো তাহলে ইংরেজরা যুদ্ধ করার সাহস তো দেখাতো না পাশাপাশি পালানোর জায়গাটুকু পেতো না।আজকে যদি বিশ্বের মুসলমানরা একত্রিত থাকতো তাহলে ইসরায়েল এমন সাহস দেখাতে পারতেন না।আমি সর্বস্তরের মুসলমানদেরকে আহবান জানাবো তারা যেন একত্রিত হয়ে ফিলিস্তিনদের সমর্থন জানান।