বাঘার রতনের দুই কিডনিই নষ্ট,বাঁচার জন্য বিশ লাখ টাকার প্রয়োজন
শুভ জামান শান্ত
বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি:
রতনের বয়স এখন ৩৩ বছর কিন্তু ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কখন যে, মারণ অসুখ বাসা বেঁধেছে তার কিডনিতে। যখন যানতে পারলো তখন তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার চক নারায়নপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন এর ছেলে রাজমিস্ত্রী জাহিদ হাসান রতন আজ জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা। চোখ বুঝে অবসন্ন শরীর নিয়ে জীবনকে মহাকালের কাছে সোপর্দ করার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন রতন। তার মধ্যে এখন বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি।
পিতা কিংবা স্বজনদের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। তারপরও তার পরিবারের চেষ্টার কমতি নেই। মা ও স্ত্রী দিতে চাই কিডনি। তারা চাই রতনের উন্নত চিকিৎসা করাতে । তবে তারা পারছেন না আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে।
নিরূপায় হয়ে রতনকে বাঁচাতে সমাজের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তার পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। জাহাঙ্গীর হোসেন দম্পতির সংসারে এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলে রতনের রয়েছে ছয় বছর বয়সী এক ছেলে।
রতন প্রতিবেদককে বলেন , গত ২০ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হলে সেখান কার ডাক্তাররা আমার প্রাথমিক পরিক্ষা করে কিডনির সমস্যা আছে বলে জানায়। পরে কয়েকটি এনজিও থেকে লোন (টাকা) নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখায়। সেখান কার কিডনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ভালো ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন আমার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। এবং তারা জানায় অপারেশন করে আমার কিডনি পরিবর্তন করতে হবে যা খুব ব্যয়বহুল। আমার মা ও স্ত্রী আমাকে কিডনি দিতে চাচ্ছে কিন্তু অপারেশন ও ঔষধ দিয়ে আমার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এতো টাকা আমার বা পরিবারের পক্ষে সংগ্রহ করা অসম্ভব। আমরা তিন ভাই বোন। বোন দুইটার বিয়ে হয়েগেছে। বাবা -মা, স্ত্রী ও সন্তানের দায়িত্ব এখন আমার উপর আমি মারা গেলে এদের কি হবে এই ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছে, সেই সাথে শরিরের অবস্থাও খারাপ হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।
রতনের পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার সহায় সম্বল বলে তেমন কিছু নেই। আমি দিনমজুর এর কাজ করি, ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো এভাবেই আল্লাহর রহমতে আমাদের সংসার ভালোই চলতো। এখন আমার ছেলের দুই কিডনি নষ্ট হয়ে সে এখন মৃত্যুশয্যায়। একটি মাত্র ছেলে বয়স ৬ বছর। আমার পক্ষে ছেলের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। ঠিক মতো খাবার কিনতে পারি না সেখানে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবো কীভাবে বলে কেঁদে ফেলেন তিনি। ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তি ও প্রবাসীদের সাহায্য কামনা করেছে জাহাঙ্গীর হোসেন।
দেশ বিদেশের সকল সহৃদয়বান ব্যক্তিদের নিকট রতনের জীবন বাঁচাতে তার পরিবার আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছে। সাহায্য পাঠানোর বিকাশ নং ০১৭০৫৮৯২০০৭