ভারীবর্ষনে রাজশাহী তানোরে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি
মোঃ আজিজুর রহমান ঃ তানোর প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে বেশ কিছুদিনের ভারী বর্ষণ ও ব্যাপক বৃষ্টিপাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় দুই হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বিভিন্ন কৌশলে ঘের দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছচাষিরা।
এছাড়াও গ্রামকে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক রাস্তা-ঘাট ডুবে গেছে। এরমধ্যে তানোর পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত আমশো তাঁতিয়ালপাড়া, গোকুল মথুরা, তালন্দ, ধানতৈড় ছাড়াও কালিগঞ্জ এবং শিবনা দমদমার বেশ কয়েকটি পুকুর ভেসে গেছে ।এসব পুকুরে বিভিন্ন জাতের বড় মাছ ও পোনা ছিল। তানোর উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানা পুকুরের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজারের মত । আর সরকারি খাসপুকুর রয়েছে এক হাজারের মতো।
সেপ্টেম্বর মাসের অধিক সময়ে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে ঢলের পানি বৃদ্ধি পেয়ে এসব পুকুর তলিয়ে যায়। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায় ,প্রায় দুই হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এসব পুকুরে বিভিন্ন জাতের বড় মাছ ও পোনা ছিল। এতে টাকার অঙ্কে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দেড় কোটি টাকা । এসব পুকুরে প্রায় ২৫ মেট্রিক টন মাছ ছিল। পোনা ছিল প্রায় ২০ লাখ। নির্ভরযোগ্য মৎস্যচাষী ও ব্যবসায়ী সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এবিষয়ে তানোর পৌর এলাকার আমশো তাঁতিয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ জানান, মথুরাপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু হেনা একজন মৎস্য চাষি। তিনি ব্যক্তি মালিকানা বেশ কয়েকটি পুকুর বছর চুক্তি লীজ নিয়ে মাছচাষ করেন। আমশো, মথুরাপুর ও তাঁতিয়ালপাড়া মৌজায় বেশ কয়েকটি পুকুর রয়েছে । কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে এসব পুকুর ভরে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। বড় মাছগুলোর ওজন ছিল দেড় থেকে দুই কেজি। এ মাসেই সব মাছ বিক্রি করার কথা ছিল । কিন্তু তার আগেই সর্বনাশ হয়ে গেছে । তিনি আরো জানান, ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা লোন নিয়ে পুকুরে মাছচাষ ব্যবসা করে আসছেন। এঅবস্থায় গত মাসের ভারী বর্ষণ ও ব্যাপক বৃষ্টিপাতে তার সব পুকুর প্লাবিত হয়ে মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। কোন মতেই রক্ষা করা যাচ্ছে না। চাষকৃত এসব মাছ বিক্রি করে এনজিও গুলোর কিস্তি চালান। এখন কি করব বলে চিন্তিত হয়ে হতাশ হয়ে পড়েন ।