রাজশাহী জেলায় জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রথম

মোস্তাফিজুর রহমান ঃ রাজশাহী ব্যুরো চীফ

রাজশাহী জেলার মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে প্রথম স্থান অধিকার করায় এলাকাবাসী অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত । এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে জানা যায় , তিনি ৩৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা । গত ২৭ সে আগস্ট ‘২০২৩ তারিখ গোদাগাড়ী উপজেলায় যোগদান করেন । যোগদানের পর তিনি জানতে পারেন , পূর্বতন কর্মকর্তা জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সচিব ও গ্রাম পুলিশদের সহায়তায় অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং তার মেধা ও প্রচেষ্টার ফলে অন্যান্য উপজেলার তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে । মোঃ আতিকুল ইসলাম সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নিজেকে সে কাজে নিয়োজিত করেন । তার এ অদম্য ইচ্ছায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে গোদাগাড়ী উপজেলা রাজশাহী জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে । উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতিকুল ইসলাম গোদাগাড়ী উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার ফেস বুক পেজে নিয়মিত বিভিন্ন সময়ে জনগণের সুবিধার্থে সুপরামর্শ দিয়ে আসছেন । সন্তানের জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন করলে (১) পাসপোর্ট (২) বিবাহ বন্ধন (৩) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি (৪) সরকারি , বেসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ (৫) ড্রাইভিং লাইসেন্স (৬) ভোটার তালিকা (৭) জমি রেজিস্ট্রেশন ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করে থাকেন । এ ছাড়াও ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা এড়ানোর লক্ষ্যে তার ফেস বুক পেজে নিয়মিত সুপরামর্শ দিয়ে থাকেন । স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তার এই প্রচেষ্টা সাধারন মানুষের মাঝে সুফল বয়ে আনবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন । মাটিকাটা ইউনিয়নের আরশাদ আলী জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের অকুতোভয় দুঃসাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মানের জন্য তার অফিস কক্ষে বসার জন্য আলাদা আলাদা বিশেষ লাল চেয়ারের ব্যাবস্থা গ্রহন করে ব্যাতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন । চেয়ারে লেখা রয়েছে সন্মানিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ আসন । এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ যা অন্যদেরকে অনুপ্রানিত করার মতো । উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আতিকুল ইসলাম উপজেলায় যোগদানের দুই মাসের মধ্যে সৃজনশীল দক্ষতা ও যুগোপযোগী পরিকল্পনার মাধ্যমে নিরলসভাবে মানবিক ও জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে জনগণের আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন ।