রাজশাহী মহানগরীর জলাবদ্ধতা জনগণকে হতাশায় ফেলেছে
রাজশাহী ব্যুরো ঃ আগে টেন্ডারের মাধ্যমে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করা হতো । কিন্তু কবে থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে বড় বড় ড্রেনগুলোর কোন ময়লা পরিষ্কার করা হয়নি টা চোখে পড়ে না । আধা ঘন্টা বৃষ্টি হলে মনে হয় তিন ঘন্টা বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আধা ঘন্টার মধ্যে পানি রাস্তায় জমে যায় । ডিজিটাল কায়দায় মেশিন দিয়ে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করা যাবে না । ডেইলি লেবার দিয়ে বালতিতে করে ময়লা পরিষ্কার করতে হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ছোট ছোট ড্রেন ও রাস্তা পরিষ্কার করা হয়ে থাকে ।
সিটি করপোরেশন বড় বড় ড্রেন পরিস্কার ও অন্য অন্য পরিচ্ছন্নতার জন্যই জনগনের নিকট থেকে ট্যাক্স নেয় । আর সেই টেক্সের টাকা থেকে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগ বড় বড় ড্রেন পরিষ্কারের অর্থ বরাদ্দ নেয় , তারা ফ্রীতে এসব করেনা৷ এখন করপোরেশনের কর্তা ব্যাক্তিরা যদি এই টাকা দিয়ে কাজ না করে তবে তার দায় দায়িত্ব করপোরেশনের উপরই বর্তায়৷
জনগন জানে শহরে ময়লা আবর্জনা সব ড্রেনে যাবে আর এইটা জানে দেখেই তারা হোল্ডিং ট্যাক্স, এই ট্যাক্স সেই ট্যাক্স সিটি করপোরেশনকে দিয়ে থাকে । সিটি করপোরেশন শত শত কর্মকর্তা কর্মচারী বেতন দিয়ে পালছে৷ মেয়র থেকে কমিশনার এতোগুলা জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচিত করে রেখেছে এগুলো এমনি এমনি বানায়নি এদের কাজই জনগণের সুবিধার্থে নিজ নিজ ওয়ার্ডের দেখভাল করা৷
অহেতুক আবেগ দিয়ে চিপসের প্যাকেট আর পেপসির বোতলের দোহায় দিয়া ড্রেনেজ ব্যাবস্থা উন্নয়নের বরাদ্দের টাকা পয়সা ছাড়খার করার দায় এড়ানো যাবেনা৷ সামান্য বৃষ্টিতে কেনো রাজশাহী শহরের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যায় , এ বিষয়ে করপোরেশনের বড় বড় পদে দায়িত্বরত কর্তা ব্যক্তিরা কি একটুও ভেবে দেখেন না । কতোদিন থেকে বড় বড় ড্রেন গুলা পরিচ্ছন্ন করা হয়নি? কারা এগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়েছিল? কারা এই বরাদ্দের অর্থ খেয়েছে? তারা কি এর দায় দায়িত্ব এড়াতে পারে ? সিটি করপোরেশনের মেয়র মহোদয় বিষয়গুলির প্রতি সুনজর দিবেন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন ।