রাজনীতি একটি পরম চর্চার ক্ষেত্র যা মানুষের সামাজিক দায়বদ্বতা, সহনশীলতা , মানবিক গুণাবলীর বিকাশ ঘঠিয়ে সর্বোপরি একজন সঠিক দলপতি বা নেতা সমাজ বা রাষ্ট্রে আবির্ভুত হয় ।চীনের মাও সেতুং যথার্থ বলেছিলেন - শত পদ্ম ফুল ফুটতে দাও । যে কোন গনতান্ত্রিক সংগঠনে যোগ্যতার মাপকাটিতেই সামান্য কর্মী থেকে দলের শীর্ষ অবস্তানে চলে যান , পরিনত হন একজন ত্যাগী মহাননেতা হিসেবে যেমনটি দেখেছি স্বাধীনতার স্তপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে ।
কারা অন্তরীন অবস্তায় ১৯৪৯ সনে আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্মলগ্নে প্রথম যুগ্মসচিব নির্বাচিত হন, নেতৃত্বের বলিষ্টতা , সাহসিকতা ও মেধা বিবেচনায় দলের পরবর্তী কাউন্সিলে সাধারন সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ছয় দফা দাবী উথাপনের মাধ্যমে হয়ে উঠেন বাংলার মানুষের নয়ন মনি , উনি বলেছিলেন ছয় দফা মানে এক দফা , একটু ঘুরিয়ে বললাম মাত্র ।যা ম্যাগনাকার্টা হিসেবে বিবেচিত । ৬৯ এ বঙ্গবন্ধু , পরবর্তীতে জাতির পিতা । ৭ই মার্চের ডাক , স্বাধীনতার ঘোষনা সব তৈরী করেই উনি পাকিস্তানীদের হাতে বন্দী হন । দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্বের ফসল আমাদের স্বাধীনতা , অসাম্প্রদায়িক জাতি রাষ্ট্র সৃষ্টি।
আমরা সবাই পরের ইতিহাসটি জানি । ৭৫ এর আগষ্টে জাতির জনক সহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পর , জাতীয় চার নেতা হত্যায় আমরা মুক্তিযুদ্বের চেতনায় বিশ্বাসীরা আদর্শিক আলো বিহীন হয়ে পড়ি । ১৯৮১ সালে ১৭মে বিরান ভুমিতে জাতির জনকের কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাসিত প্রবাস জীবন থেকে দলের সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে ফেরত আসেন ও দলের হাল ধরেন । উল্লেখ্য আমি বাংলাদেশ বিমানে ডিউটিরত অবস্তায় এই ফ্লাইটটি গ্রাউন্ডে রিসিভ করি ও প্লেনের দরজা খুলে প্রিয় নেত্রীকে নামিয়ে আনি যা আমার জীবনে বিরল পাওনার স্বাক্ষর ।এ মাসেই ৩১ তারিখে সামরিক সরকার প্রধান জেনারেল জিয়া সেনা বিবাদে নিহত হন । বিচারপতি সাত্তার সাবের হাত থেকে ক্ষমতা নেয় সেনা শাসক জেনারেল এরশাদ ॥
আমি যা বলতে চাই , পরিবারের সকল সদস্যদের হারিয়ে মাননীয় নেত্রী দেশে এসেই যা যা ইন্টারফেস করলেন । দলের মধ্যে ভাঁঙ্গন মহিউদ্দিন সাব ও রাজ্জাক ভাইয়ের সেই বাকশাল , জাতীয় ছাত্রলীগ সহ কতগুলো সাংগঠিক ঝঞ্জাল সামনে উঠে আসলো । উনি দৃঢ়তার সাথে সব মোকাবেলা করে দলকে সংগঠিত করা , ১৯৯৬এর নির্বাচনে সরকার গঠন সহ জাতিকে আলোর পথ দেখান । পিতার হাতে স্বাধীনতা আর কন্যার হাতে উন্নয়ন যা বাস্তবায়ন হলো , ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে যাব । সুনীল অর্থনীতি সচল , ডেল্টা প্লান , ভিশন উপস্তাপন ,করোনা মোকাবেলা , চলমান বৈষয়িক প্রভাব মোকাবেলী সহ নানা উদ্ভাবনী কাজ নেত্রীকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছে । উনি এখন বিশ্বনেত্রী । নিজের পায়ে ভর করে দাঁড়ানোর শক্তি কোমড়ে আছে ।
মোদ্দাকথা প্রতিযোগিতা থাকবে তার মানে এই নয় কাউকে প্রান দিতে হবে । জাতির জনকের প্রাননাশ , নেত্রীর প্রাননাশের অবিরাম প্রয়াস , ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা এসব কিসের আলামত , কেন করছে , ওরা কারা !
মুক্তিযুদ্বের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানীদের প্রেতাত্মারা ,পাকী প্রেমীরা এসব সর্বনাশা খেলায় মত্ত । আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে , ঐক্য ধরে রাখতে হবে । নেতা হওয়ার জন্য আমরা যেন জননেত্রীর কঠিন অর্জনগুলো ম্লান না করি । দলে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত ভাবে চালাতে হবে । যারা দলে সুবিধা বন্চিত , ত্যাগী , সুশিক্ষিত নানা কৌশলে ওদের ল্যাং মেরে পিছনে ফেলার যে প্রতিযোগীতা চলছে তা দলের স্বার্থেই বন্ধ করতে হবে । দলে সুবিধা বন্চিতদের তালিকা প্রনয়নের জন্য এখন দরকার শক্তিশালী সার্চ কমিটি , অনুপ্রবেশকারী ,লুঠেরাদের গুডবাই জানাতে হবে । survival of the fittest হউক নেতা নির্বাচনের প্রধান সোপান , তবে জননেত্রী শেখ হাসিনা সে পথেই হাঁটছেন বলে নীতিনির্ধারকদের অভিমত । সাধু সাবধান , জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ,
লেখক বাংলাদেশ স্বাধীনতা যদ্ধে একজন সম্মখ যোদ্ধা