শহিদুল ইসলাম রুবেল ঃনেত্রকোণা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি উৎসব -২০২৩ নেত্রকোণায় (৩ ও ৪ অক্টোবর) দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ নেত্রকোণা জেলা শাখা স্থানীয় পাবলিক হল মিলনায়তনে এ উৎসবের আয়োজন করে।
উৎসবের শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত ও অতিথিদের বরনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
দুই দেশের সম্প্রতি উৎসবটি বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ নেত্রকোণা জেলা শাখার সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকারের সভাপতিত্বে ভারতের দূরদর্শন ও আকাশবাণী শিল্পী শাশ্বতী গুহ ও রাজশাহীর উপস্থাপক, সংগঠক, গবেষক ওয়ালিউর রহমান বাবুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নীম চন্দ্র ভৌমিক।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভারত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার দত্ত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোণা – ৩ (কলমাকান্দা – দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা ছবি বিশ্বাস, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ও জেদ্দা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি , আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য উপকমিটির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হোসেন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক উপ -পরিচালক ফজলুর রহমান সরকার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্য সোনালী কাজী ও বাংলাদেশ ভারত সম্প্রীতি পরিষদের কো চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিয়া মোঃ শফিক অন্যান্যরা।
বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি উৎসবের আলোচ্য বিষয় ছিলো, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান। স্বাধীনতার ৫২ বছরের মধ্যে এই প্রথম নেত্রকোণা পাবলিক হল মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রতি উৎসব -২০২৩ অনুষ্ঠানটি দুইদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উৎসবটি বাংলাদেশ ও ভারতের দেশবরেণ্য অতিথি ও শিল্পীবৃন্দকে নিয়ে আলোচনা সভা, সেমিনার, কবিতা পাঠের আসর ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনার মধ্য দিয়ে নেত্রকোণা জেলাবাসীর উপস্থিততে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রতি উৎসবটি যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। উৎসবের প্রথম দিনে ২য় পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন হাবিবা রহমান খান , মাননীয় সংসদ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা আসন ৩১৭, (নেত্রকোণা)। উৎসবের শেষ পর্বে ভারত ও বাংলাদেশের বিখ্যাত আবৃতি শিল্পীগন মনোমুগ্ধকর কবিতা পাঠের আসর বসান । স্তানীয় ধামাইল গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন মোহনগন্জের নারাইচ গ্রামের একটি দল । শেষ পর্বে আকর্ষনীয় পরিবেশনা ছিল বঙ্গবন্ধুঃ এক মুক্তির কন্ঠ । ভারত থেকে আগত শিল্পীদের পরিবেশনায় রচনা , সংকলন ও নির্দেশনায় ছিলেন ধনন্জয় ঘোষাল, অংশগ্রহনে ছিলেন অমিতা ঘোষ রায় ,চৈতালী গোস্বামী,অপরাজিতা পাল ,সুদীপ্ত চক্রবর্তী, প্রকৃতি রাজ ও দেবস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায। দর্শক নন্দিত এই পরিবেশনায় বাংলাদেশ ভারত সম্প্রীতি পরিষদের মহাসচিব মমতাজ হুসেন চৌধুরী পরিবেশকদের ভুয়সী প্রশংসা করেন ও এই ধরনের কর্মসুচী বিভিন্ন জেলায় জেলায় পৌছে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন । আয়োজকদের পক্ষ থেকে সভাপতি কেশব রন্জন সরকার ও উৎসব পরিচালনার মুল পরিকল্পনাকারী এস বি বিপ্লব নির্দেশকের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন । এ সময় দুই দেশের পক্ষে অধ্যাপক ড. নীম চন্দ্র ভৌমিক ও অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার দত্ত অনুষ্টানস্তলে উপস্তিত থেকে আয়োজকদের ও স্তানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের প্রশংসা করেছে।