বিশেষ প্রতিনিধি সোহেল রানা ঃ সিরাজগঞ্জ জেলায় বেলকুচি উপজেলার সুবর্ণ সারায় নিশি বাড়ি গ্রামে পাষন্ড বাবার হাতে দুই বছরের শিশু বাচ্চা নিহত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকার মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় ২৬ শে সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় নিহত শিশুর বাবা হযরত আলী তার তাঁত ফ্যাক্টরি ভিতরে গলায় রশি ঝুলিয়ে তার শিশু বাচ্চাকে হত্যা করে। এই ঘটনা এলাকার মধ্যে জানাজানি হলে হযরত আলীর ও তার বাবা মা সহ সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হযরত আলী ওই গ্রামের হাজী আব্দুল আউয়াল মুন্সির ছেলে বলে জানা যায়। নিহত শিশু জুনায়েদ এর মা লিপি খাতুন জানান দীর্ঘদিন ধরে হযরত আলী (আমার স্বামী)আমার সাথে সংসার করবে না আমাকে তালাক দিবে এই বলে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে আসছে। কিছুদিন আগে আমার শ্বশুর-শাশুড়ি তার ছেলে হযরত আলীকে বলে দিয়েছে যে তোর বাচ্চা ছেলেকে মেরে ফেল তাহলে তোর বউ একাই বাবার বাড়িতে চলে যাবে। সেই কথামতো আজ সকালে আমার শিশু বাচ্চা জুনায়েদকে আমার কোলে থেকে নিয়ে গিয়ে আমার স্বামী তাঁত ফ্যাক্টরির ভিতরে রশ্মির সাথে ঝুলিয়ে আমার বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে। আমার ছেলেকে কোথাও না দেখতে পেয়ে আমি চারদিকে খোঁজাখুজি করি। তারপর তাঁত ফ্যাক্টরির ভিতরে গিয়ে দেখি আমার ছেলে রশির সাথে ঝুলে আছে আর আমার স্বামী পাশে দাঁড়িয়ে আছে। এই দেখে আমি চিৎকার দিলে এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক এগিয়ে আসে তখন আমার স্বামী ও শশুর শাশুড়ি পালিয়ে যায়। মৃত জুনায়েদের মামা সানোয়ার হোসেন জানান আমার ভাগিনাকে হযরত আলী ও তার বাবা-মা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এই অমানবিক হত্যার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার্স ইনচার্জ খাইরুল বাশার জানান বাবার হাতে ছেলে খুন ফোনে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে হাজির হয় এবং তদন্ত করে দেখি। মৃত জুনায়েদের গলায় রশির দাগ রয়েছে, প্রাথমিকভাবে জানা যায় তাকে ঝুলিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ঝুলিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় মৃত জুনায়েদের বাবা হযরত আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তিনি স্বীকার করেছেন তিনি নিজেই তার সন্তানকে মেরে ফেলেছেন।পরে লাস উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মরগে পাঠানো হয়েছে।