সিরাজগঞ্জে প্রক্সি দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭ পরীক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষায় আটক
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরীর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও অবশেষে মৌখিক পরীক্ষার সময় কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা খেলো ৭ নিয়োগ পরীক্ষার্থী । আটককৃত ৭ পরীক্ষার্থী কে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায় আটককৃত পরীক্ষার্থীদের স্থলে অন্যরা (প্রক্সি) লিখিত পরীক্ষায় অংশ করেছিল। অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরীর নিয়োগ পরীক্ষা সিরাজগঞ্জের দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয় ।৩৪টি পদের বিপরীতে এই পরীক্ষায় অফিস সহায়ক ১৭৭ ও নিরাপত্তা প্রহরী ১১ জন উত্তীর্ণ হয়। নিয়োগ পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ২৪ শে সেপ্টেম্বর সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কক্ষে নিয়োগ বাছাই কমিটির মাধ্যমে মৌলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে আসামিদের কাগজ পাতি যাচাই-বাছাইয়ের সময় তাদের হাতের লেখার সাথে লিখিত পরীক্ষার খাতার গর মিল পাওয়া যায়। পরে পরীক্ষার্থীরা স্বীকার করেন যে তারা অন্যের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র লিখিয়েছেন। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয় পুলিশ এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। আজ সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। আসামিরা হল সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলি ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ফিরোজ উদ্দিন, তাড়াশ উপজেলার নিম গাছির বিষম ডাঙ্গা গ্রামের আবু তাহের সরকারের ছেলে লোকমান হোসেন। কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাটে গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম সুজন,শাহজাদপুর উপজেলার মুরুটিয়া গ্রামেরএলাহী পরামানিকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম,উল্লাপাড়া উপজেলার বাঁখুয়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মুজিবুর রহমান। কামারখন্দ উপজেলার চর দোগাছি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে হাবিবুল্লাহ বেলালী, ও উল্লাপাড়া উপজেলার গোয়াল জানি পূর্ব পাড়া গ্রামের হেনা মন্ডলের ছেলে এনামুল হক। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান তাদের নামে মামলা হয়েছে এবং আজকে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।