আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগরী যুবলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন । আর এই সম্মেলনকে ঘিরে নগর যুবলীগের শীর্ষস্হানীয় পদে আসীন হতে নেতাদের মধ্যে বিভক্তির রাজনীতি চলছে। তারা একে অন্যকে পঁচাতে ফেস বুকে ,এমনকি তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধ বাংলায় কাঁদা ছোড়াছুড়ির খেলা খেলছে ।
সভাপতির আসনে খুব একটা ঠেলা ঠেলি না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে তলে তলে একে অপরের সঙ্গে নিচ্ছেন পাঙ্গা; এক নেতা আরেক নেতার গীবত গাওয়া নিয়ে ব্যাস্ত। আর নিজেকে অন্যের কাছে সৎ, যোগ্য ও ভদ্রলোক জাহির করার চেষ্টায় আছেন। এই খেলায় নেতাদের সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের কর্মীরাও আছেন অনেকে । শুধুমাত্র নীতির আদর্শে যারা রাজনীতি করে, তারা আছেন একদম চুপচাপ ।
এদিকে অনেকে বিভিন্ন পদে থাকার পরেও আবারও নতুন উচ্চ পদের আশায় নিজেদেরকে এই খেলায় মাতিয়ে রেখেছেন ।এমন কাঁদা ছোড়াছুড়ি খেলায় পেছন থেকে উৎসাহ দিচ্ছেন মূল দলের কিছু নেতা । এদিকে তৃণমূল থেকে আসা দীর্ঘদিনের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা তারা কোনো পদেই অধিষ্ঠিত হতে পারছে না । দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্ষমতার রাজনীতিতে যারা পদে ছিল, তারাই পদে রয়েছে ।
মাঝখানে অনেকটা বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সেন্ট্রাল যুবলীগের নীতিনির্ধারকদের। কাকে বাদ দিবেন, আর কাকে নেতা বানাবেন এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্য মাঝখানে দারুণ সুবিধা নিচ্ছেন বেশকিছু সুবিধাবাদী লোকেরা। নেতা বানানোর সুবিধাতে পকেট ভর্তি করে বগল বাজাতে বাজাতে মহানন্দে খেলা উপভোগ করছেন তারা।
কি তাজ্জবের কথা তাই না! কিন্তু এটাই বাস্তবতা। বর্তমানে সুসংগঠিত যুবলীগের মত একটি শক্তিশালী সংগঠন পদ প্রত্যাশীদের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে এটা কখনোই কাম্য নয়।
শুনেছি এটা নাকি কিছুই না। সামনে আরও দেখার বাকি রয়েছে । সেন্ট্রাল নেতারা খুব বিচক্ষণতার সাথে যদি এটাকে প্রতিহত করতে না পারে, তবে ভবিষ্যতে মহানগর যুবলীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিবে ।