1. sheikhrobirobi008@gmail.com : dailynayakontho :
  2. nayakontho@gmail.com : nayakontho :
  3. admin@dailynayakontho.com : unikbd :
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীতে পালন করা হয় ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস রাজবাড়ী সদর মুকুন্দিয়ায় বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে অনলাইন জুয়ায় ঋণগ্রস্ত হয়ে যুবকের আত্মহত্যা গোয়ালন্দে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা গোয়ালন্দে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম‍্যাচ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি গোয়ালন্দে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনে গোয়ালন্দ সাংবাদিক ফোরাম রাসিকের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন ধামইরহাটে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত পোরশায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

মেহেরপুরে কপির ভেজাল বীজে কোটি টাকা ক্ষতি। নয়া কণ্ঠ

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১০০ বার পঠিত

মেহেরপুরে কপির ভেজাল বীজে কোটি টাকা ক্ষতি

মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুর সদর উপজেলার চকশ্যামনগর-বন্দর মাঠে ভেজাল বীজে ফলন বিপর্যয় ঘটেছে বাঁধা কপিতে। নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করায় প্রায় একশ বিঘা জমির বাঁধাকপির পাতা বাঁধেনি অভিযোগ ভুক্তভূগী চাষিদের। এতে অন্তত প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষকরা। জেবিটি সিডসের রাজাসান কপির বীজ কিনে এধরণের ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে দাবী কৃষকদের।

ভেজাল বীজ দিয়ে কৃষকদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও দাবী করেছেন তারা। সরেজমিন চকশ্যামনগর-বন্দর মাঠে দেখা গেছে নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করায় মাঠের পর মাঠ কপির আবাদ হলেও কপির পাতা বাঁধেনি। কপির পাতা কুকড়িয়ে ও পচে যাচ্ছে। জেবিটি সিডসের রাজাসান কপির বীজ কিনে চাষিরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কপির পাতা না বাঁধার কারণে অনেকে কপি নষ্ট করে জমি চাষ দিচ্ছেন অন্য জাতের কপি বা অন্য ফসল লাগানোর জন্য।

চাষিরা জানান, স্থানীয় চকশ্যামনগর-বন্দর এলাকার সার ব্যবসায়ী আনারুলের কাছে থেকে জেবিটি সিডসের সরবরাহকৃত রাজাসান বীজ ব্যবহার করা হয়। বীজ থেকে গাছ জন্মালেও এখন পাতা বাঁধছে না। অন্যরা অন্যান্য কোম্পানির দেওয়া বীজ রোপন করে তারা বাঁধাকপি বাজারে তুলেছেন অথচ জেবিটি কোম্পানির রাজাসান কপি আজও পাতা বাঁধেনি। তারা জানান, একেকটি গাছের ৩-৪টি ডগা গজিয়েছে। আবার অনেকটা পাতা কোকড়ানো। পাতা পচে যাচ্ছে। সার বীজ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। বিঘাপ্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এ কপি চাষে। চাষীদের দাবি বীজ ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসলে তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে আসবে।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক কালু মন্ডল বলেন, স্থানীয় বীজ ডিলার আনারুলের কাছে রাজাসান জাতের বীজ কিনে এক বিঘা জমিতে কপি রোপন করি। এতে আমার ১২ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। অন্যরা কপি বিক্রি করলেও আমার কপি এখনও পাতা বাধেনি। উপায় না পেয়ে সমস্ত চারা ভেঙ্গে জমি চাষ দিয়েছি। এখন অন্য জাতের কপি বা অন্য ফসল করতে হবে। কৃষক মিলন বলেন, ১৫ হাজার টাকায় জমি লীজ নিয়ে আনারুলের কাছ থেকে রাজাসান জাতের বীজ নিয়ে কপি আবাদ করেছিলাম। কপিতেও ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখন কপির পাতা বাধেনি। কপির পাতা কুকড়ে যাচ্ছে, পচে যাচ্ছে। আনারুল আমাদের আসল রাজাসান বীজের কথা বললেও এখন দেখছি এগুলো ভেজাল বীজ। এমন অবস্থায় আমরা কার কাছে গিয়ে উদ্ধার পাবো।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আনিছদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে কপি চাষ করে আসছি। অন্যান্য জাতের কপি চাষ করি। এ বছরে আনারুল রাজাসান কপি ভালো বলে প্রচার প্রচারণা চালালে আমি আনারুলের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করি। ১ মাস ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কপির পাতা বাধেনি। এবিষয়ে আনারুলকে অবগত করলেও কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না। মাঠে অন্য জাতের কপি বেচাকেনা চলছে। কিন্তু আমাদের কপি এখনও পাতাই বাধেনি। আমরা বড় ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে পড়েছি। কি করবো আমরা। তারা আমাদের কিছু ক্ষতিপূরণ দিলে আমরা এতবড় ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতাম।

আরেক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক নাজের আলী বলেন, আমি গত চার বছর যাবৎ রাজাসান কপি চাষ করছি। গত বছরে ভালো ফলন পেয়েছি। এবছরে মেহেরপুর বড়বাজারের সুমনা বীজ ভান্ডার থেকে বীজ সংগ্রহ করেছে। সুমন বলেছিল বীজের দাম একটু বেশি লাগবে কিন্তু বীজ ১ নম্বর হবে। তার কথামতো বীজ নিয়ে চারা দিই কিন্তু আজ ৩৭ দিন পার হলেও কপির পাতা বাধার কোন আকার দেখতে পাচ্ছি না। আমি চায়ের দোকান চালিয়ে ভাত করে খাই। এই কপি চাষে আমি ৬০ হাজারের উপরে খরচ করেছি। আমি ধারদেনা করে কপিতে খরচ করেছি। এই কপি যদি না হয় আমি কি করে সংসারে দাঁড়াবো বলতেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এবিষয়ে আনারুল ইসলাম বলেন, আমার মূলত সার ও বিষের ব্যবসা। আমি মেহেরপুর বড় বাজারের সুমনা বীজ ভান্ডার থেকে বীজ এনে চাষীদের দিয়েছি। কপির পাতা বাধেনি বিষয়টি আমি শুনেছি। এবিষয়ে সুমনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে কিন্তু তার কোন সাড়া মিলছে না। বিভিন্ন ভাবে সে সময় ক্ষেপন করছে। যেহেতু চাষীদের ক্ষতি হয়েছে তাদের সপ্তাহখানেক পর একটা ব্যবস্থা করা হবে।

সুমনা বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সুমন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন বীজ বিক্রিই করিনি। যে চাষী আমার কথা বলেছে আমি তাকে চিনি না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, চাষিদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। চাষিদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
২০২৫ © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed By UNIK BD