বাংলাদেশের ইতিহাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদিবাসী সূর্যসন্তান প্রথম সাঁওতাল আইনজীবী প্রভাত টুডু
প্রভাত টুডু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম জলাহারে জন্ম গ্রহণ করেন। কাচা রাস্তা, মাটির বাড়িতে বেড়ে উঠা প্রভাত টুডু ১৯৮৫ সালে শ্যাম টুডু ও রাজোবালা মুরমুর পরিবার জন্মগ্রহণ করেন।
সাত ভাই বোনের মধ্যে প্রভাত টুডু হলেন সবার ছোট। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন প্রভাত টুডু। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বাংলাদেশের প্রথম সাঁওতাল আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আইনজীবি হওয়ায় এলাকায় আনন্দের শেষ নেই। দেওয়া হয়েছে তাকে গণ সংবর্ধনাও।
ছোটবেলা থেকে প্রভাত নিজ জনগোষ্ঠিসহ অধিকার বঞ্চিত মানুষদের জন্য কথা বলেন। এছাড়াও ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কাজ করে আসছেন।
প্রভাত টুডু হরিমোহন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নবাবগঞ্জসরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, নটরডম কলেজ থেকে ডিগ্রী এবং সরকারী বাঙলা কলেজ থেকে সমাজকর্মে মাস্টার্স শেষ করেন। আইনজীবি হওয়ার প্রবল ইচ্ছা থেকে ২০১৪ সালে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও ২০১৬ সালে এলএলএম সম্পূর্ণ করে ২০১৮ সালে ঢাকা আইনজীবি সমিতির সদস্য পদ পান।
২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি হয় টুডু। বাংলাদেশে প্রথম সাঁওতাল জনগোষ্ঠির আইনজীবি হওয়ায় এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে। সেই প্রভাত টুডুকে সাঁওতাল আদিবাসীদের পক্ষ থেকে গণ সংবর্ধনা দিয়েছে।
প্রভাত টুডু বলেন, আজ আমি আন্দন্দিত, বঞ্চিত ও অধিকার হারা আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়সহ সবার হয়ে কাজ করতে চাই। কেউ যেন আইন বঞ্চিত না হয়। আর বাংলাদেশের প্রথম সাঁওতাল সম্প্রদায় থেকে আইনজীবি হওয়ায় মা বাবা স্ত্রীসহ সকলেই আনন্দীত।
প্রভাত টুডুকে দৈনিক নয়া কণ্ঠের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।