ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মৎস্যজীবীদের সচেতনতা বাড়াতে সংক্ষিপ্ত পথসভা, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও নৌ-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুর ও ঝালকাঠি টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির উদ্যোগে সংক্ষিপ্ত পথসভা, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও নৌ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালে তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশন মোলহেডে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশিদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান ও চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস।
সংক্ষিপ্ত পথসভা শেষে মা ইলিশ সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতামূলক লিফলেট উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করেন টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা। পরে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মেঘনা মোহনায় নৌ-র্যালি বের হয়।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা-বিষখালী নদীতে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে মৎস্যজীবীদের সচেতনতা বাড়াতে নৌ-র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় শহরের পৌর মিনিপার্ক সংলগ্ন সুগন্ধা নদী থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে সুগন্ধা ও বিষখালি নদীর ৫ কিলোমিটার ঘুরে একই স্থানে শেষ হয়। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বেলুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করেন।
এতে মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আনিসুর রহমান তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মইনুল হক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার ধাম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ র্যালিতে দুটি স্পিডবোট ও ৮টি ট্রলারে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ বিভাগের সদস্যসহ শতাধিক মৎস্যজীবী অংশ নেন। এ সময় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে ইলিশের প্রজনন মৌসুম ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন প্রজনন ক্ষেত্রে ইলিশসহ সব মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আইন মানার জন্য জেলেদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।