ভোলায় মুক্তিযোদ্ধার জীবিত স্ত্রীকে মৃত বানিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ
জেলা প্রতিনিধি, ভোলা: ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নেওয়া সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারকে সরকার মাসিক ভাতা প্রদান করে আসতেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভোলা সদর উপজেলার ১১নং ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল লতিফ এর স্ত্রী নুর জাহান মাসিক রাষ্ট্রিয় ভাতা পেয়ে আসছিল।
আব্দুল লতিফ এবং নুর জাহানের একমাত্র পুত্র সন্তান আঃ কাদির তাহাদের আর কোন সন্তানাদি নেই। নুর জাহান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাহার সেবা করার জন্য একটি মেয়ে (জহুরা খাতুন) কে দওক নেয়। কিন্তু উক্ত জোহরা খাতুন আর্থিক লোভের লোভে পড়ে সে নিজেকে আব্দুল লতিফ এবং নুর জাহানের একমাত্র সন্তান দাবি করেন। এবং একাধিক কৌশলের মাধ্যমে বিভিন্ন জাল সনদ সংগ্রহ করে এবং আব্দুল লতিফ এবং নুর জাহানের সন্তান জহুরা খাতুন এবং আঃ কাদিরকে পালিতো সন্তান হিসেবে এই মর্মে ওয়ারিশ নামা সনদ নেন।
কিন্তু ১১নং ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের সঙ্গে উক্ত ওয়ারিশ নামা দেওয়া ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ব্যপারে কিছু জানে না বলে মন্তব্য করেন। এবং সাবেক ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জানাতুল ফেরদাউস গত ২৯/০৯/২২ খ্রিঃ তদন্ত করে জহুরা খাতুন (বকুল) বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফের পালক মেয়ে এবং জহুরা খাতুন এর পিতা মৃত মোতাহার মিস্ত্রি, এবং মাতা মৃত ছালেহা খাতুন এই মর্মে সনদ প্রদান করেন।
সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় প্রতিবেশী ও নুর জাহানের সাথে কথা বলে জানা যায়, জহুরা খাতুন (বকুল) আব্দুল লতিফ ও নুর জাহান দম্পতির পালিত কন্যা। নুর জাহান আক্ষেপ করে বলেন, আমি জীবিত থাকা স্বত্তেও আমাকে মৃত বানিয়ে আমার স্বামীর রাষ্ট্রীয় ভাতা ভোগ করতেছে আমরা পালিত কন্যা জহুরা খাতুন। আমি জীবিত এরচেয়ে বড়ো প্রমান আর কি লাগে? সে আমাকে মৃত বানিয়ে ঝাল সনদপত্র তৈরি করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, জহুরা খাতুন (বকুল) উত্তেজিত হয়ে সঠিক তথ্য না দিয়ে। বরং উল্টো প্রতিবেদককে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে থাকেন। পড়ে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার কল করা হলে তিনি আর কল রিসিভ করেন নি।