গাংনীতে কিছুতেই থামছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
রুদ্র ঃ মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীতে চিৎলা গ্রামে ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সাহেবনগর গ্রামের পুকুর মালিক শওকত আলীর ছেলের রফিকুল ইসলাম চিৎলা গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে আহম্মেদ আলী ও মৃত কুন্ডু শেখের ছেলে জিনারুল ইসলামকে মাছ চাষ করার জন্য চার বছরের জন্য লিজ দেন।
পুকুর মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে তাদের চার বছর পূর্ণ হয়েছে। জোরপূর্বক আমার পুকুরে তারা ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছে। ফলে পুকুরসহ আশেপাশের জমি হুমকির মুখে রয়েছে। আমি বারবার তাদের নিষেধ করেও তারা আমার কথা শোনেননি বরং আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এর প্রতিকার চেয়ে আমি মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ এ একটি মামলা দায়ের করেছি।
মাটি উত্তোলনের প্রতিবাদে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আমি একটি লিখিত আবেদন করেছি। বালি উত্তোলনকারী আহম্মেদ আলী মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
বালি উত্তোলনকারী জিনারুল ইসলাম জানান, পুকুর মালিকের নির্দেশেই ভালো উত্তোলন করা হয়েছিল। তাহলে পুকুর মালিক আপনার বিরুদ্ধে মামলা করল কেন আদালতে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোন সদুত্তোর দেননি। শুধু বলেন এখন বালি তোলা বন্ধ রয়েছে।
গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজির হোসেন শামীম জানান, যেহেতু এই জমিতে আদালত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে থানা পুলিশ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করবে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, আদালতের আদেশ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বালি উত্তোলনের সকল কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন আদালতের রায় না পাবে ততদিন এখানে বালি উত্তোলন বা এখান থেকে কোন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরাতে পারবে না বলে জানান তিনি।